রূপকথার জন্ম দিচ্ছে ফ্লুমিনেন্স, ব্রাজিলিয়ান ক্লাবকে হারিয়ে সেমিতে চেলসি

একদিকে, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে রূপকথার গল্প লিখেই যাচ্ছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। যে ক্লাবের অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় অনিশ্চিতই ছিল ফুটবল, সেই দলই ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে! সৌদি আরবের আল হিলালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ফ্লুমিনেন্স। তাদের সেমিফাইনালে খেলতে হবে চেলসির বিরুদ্ধে। এই চেলসিও আবার ব্রাজিলিয়ান ক্লাবকে হারিয়েই ব্রাজিলের ক্লাবের মুখোমুখি হতে চলেছে। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি। এই পালমেইরাসও অঘটন ঘটাচ্ছিল।লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে টপকে গ্রুপসেরা, এরপর শেষ ষোলোয় স্বদেশি বোতাফোগোকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। চেলসির বিরুদ্ধেও ৮২ মিনিট পর্যন্ত সমতা ধরে রেখেছিল পালমেইরাস। তবে আত্মঘাতী গোলে কপাল পুড়েছে ক্লাবটার। এর আগে ২০২২ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি ও পালমেইরাস। সেই ম্যাচেও চেলসি জিতেছিল ২-১ গোলে। সেই একই ফলেরই পুনরাবৃত্তি হলো। এদিন ম্যাচের ১৬ মিনিটেই দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে চেলসিকে এগিয়ে দেন কোল পালমার। বিরতির পর চেলসিকে চমকে দিয়ে পালমেইরাসকে সমতায় ফেরান এস্তেভাও। তবে ৮৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পালমেইরাসের সর্বনাশ ডেকে আনেন অগাস্তিন গিয়াই। মালো গুস্তোর শট আটকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান গিয়াই। তাতেই চেলসি পেয়ে যায় সেমিফাইনালের টিকিট।
অন্যদিকে ফ্লোরিডায় ফ্লুমিনেন্সের ম্যাচ শুরুর আগে স্পেনে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া লিভারপুলের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভাকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এই সময় আল হিলালের দুই পর্তুগিজ তারকা রুবেন নেভেস ও জোয়াও কানসেলোর কান্না ছুঁয়ে যায় বাকিদেরও। কান্না ও আবেগ আড়াল করেই শুরু হয় সেমিফাইনালের লড়াই। মাঠের লড়াইয়ে ফ্লুমিনেন্সের চেয়ে আল হিলালের দাপটই ছিল বেশি। কিন্তু ৪০ মিনিটে আল হিলালকে হতাশ করে প্রথম গোলটি আদায় করে নেয় ফ্লুমিনেন্সই। বিরতির পর মার্কোস লিওনার্দোর গোলে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে আল হিলাল। কিন্তু ৭০ মিনিটে আবার পিছিয়ে পড়ে। এরপর আর আল হিলাল চেষ্টা করেও পারেনি।