জিতেই জবাব গুকেশের, কটাক্ষ করেও ম্যাচ হেরে ঢোঁক গিললেন কার্লসেন
স্পোর্টস ডেস্ক: মানসিক চাপ! মনস্তাত্বিকভাবে বিধ্বস্ত করার কৌশল! নাকি ঔদ্ধত্য- অহংকার! গুকেশ বোঝালেন তিনি ধর্তব্যের মধ্যেই ধরেন না এসব। আসলে তুখোড় ফর্মে তিনি। ঠান্ডা মাথার প্লেয়ার। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে প্রতিপক্ষ গুকেশকে কটাক্ষ করেছিলেন ম্যাগনাস কার্লসেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন খেলার যোগ্যতা নিয়েই। বলেছিলেন, ‘গুকেশ আগের বার ভালো পারফর্ম করেছিল ঠিকই। কিন্তু ওকে প্রমাণ করতে হবে এই ফরম্যাটে ও সেরা প্লেয়ার। ওকে এই টুর্নামেন্টে অন্যতম দুর্বল প্লেয়ার হিসাবেই ধরছি।’ গুকেশ যেন ৬৪ খোপে কটাক্ষেরই জবাব দিলেন। ‘দুর্বল’ প্রতিপক্ষই কালো ঘুঁটি নিয়ে মাত করে দিয়েছেন নরওয়ের বিশ্বসেরা দাবাড়ুকে। নরওয়ে ওপেনে হারার পরও ঔদ্ধত্য দেখিয়ে দ্বিতীয়বার হারলেন কার্লসেন।
গ্র্যান্ড চেস ট্যুরের জাগ্রেব পর্বে সুপারইউনাইটেড র্যাপিড ২০২৫ টুর্নামেন্টে কার্লসেনকে ফের হারিয়ে দিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ। এই জয়ের ফলে জাগ্রেবে ১০ পয়েন্ট নিয়ে একক ভাবে শীর্ষে উঠলেন ভারতীয় দাবাড়ু। হারের পর অবশ্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন নরওয়ে দাবাড়ু কার্লসেন। নিজে বলেছেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট আমিই খারাপ খেলেছি। তার প্রাপ্য শাস্তি এটা আমার জন্য। সব কৃতিত্ব গুকেশের। দারুণ খেলেছে। সবক’টা সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। অবিশ্বাস্যভাবে ভাল খেলছে।’ গুকেশের কাছে হারের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রাশিয়ান দাবাড়ুর একাধিপত্য নিয়ে। কার্লসেন নিজেই বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, আমি এখন দাবা খেলা মোটেও উপভোগ করছি না। আমি ক্রমাগত দ্বিধাগ্রস্ত থাকি, এটা সত্যিই খারাপ’।
কিছুদিন আগে ক্লাসিক্যাল দাবায় গুকেশের কাছে হেরে রাগের চোটে টেবিলে সজোরে চড় মেরে বসেছিলেন নরওয়ের এই দাবাড়ু। এবারেও টুর্নামেন্ট শুরুতেই কটাক্ষ করে মেজাজ খারাপ করানোর চেষ্টা করেছিলেন পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। গুকেশ কিন্ত বরাবরের মতোই ছিলেন শান্ত, সংযত ও লক্ষ্যে স্থির। আরও একবার কার্লসেনকে মাত করলেন তিনি। গুকেশের ঠান্ডা মাথার সামনে ৪৯ দানের পর হার স্বীকার করে নেন কার্লসেন। টুর্নামেন্টে শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি ভারতীয় দাবাড়ুর। পোল্যান্ডের গ্র্যান্ডমাস্টার দুদারের কাছে প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়েছিলেন গুকেশ। তবে পরবর্তী দুই রাউন্ডে ভারতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার বুঝিয়ে দেন, কেন তিনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। দ্বিতীয় রাউন্ডে গুকেশ হারান ইরানের অলিরেজা ফিরুজজাকে। এরপর তৃতীয় রাউন্ডে তাঁর কাছে হার মানেন ভারতেরই রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ।