গতবার জিরো থেকে এবার হিরো ক্যাপ্টেন হার্দিক, সূর্যের তেজে প্লে অফে মুম্বই

গত আইপিএলে সমালোচনায় জর্জরিত হয়ে গিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এবার সেই হার্দিকই অধিনায়কত্বে হৃদয় জয় করে নিলেন। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বইয়ের কাছে ৫৯ রানে হেরে বিদায় হয়ে গেল দিল্লির। আর এই জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ খেলা নিশ্চিত করল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। টসে হেরে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৮০ রান তোলে মুম্বই। রান তাড়ায় দিল্লি অলআউট হয় ১৮.২ ওভারে ১২১ রানে।মুম্বইয়ের পয়েন্ট হল ১৬। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে দিল্লি। ফলে মুম্বাই শেষ ম্যাচে হারলে ও দিল্লি শেষ ম্যাচে জিতলেও লিগ টেবিলে কোনো হেরফের হবে না। মুম্বইকে একাই টেনে নিয়ে যান ভারতীয় দলের টি২০ অধিনায়ক সূর্যকুমার।

৪৩ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এরমধ্যে ৭ চার ও ৪ ছক্কা। এছাড়াও তিলক বর্মা (২৭) এবং নমন ধীর (২৪) করেন। এদিন টেস্টে অবসরের পর ঘরের মাঠে প্রথম খেলতে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা। তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান জানাতেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল হিটম্যান ভক্তরা। বিশেষ জার্সি, মুখোশ পরে মাঠে হাজির হন তাঁরা। জার্সির পিছনে রোহিত ৪৫ লেখা। সামনে লেখা ‘মুম্বই চা রাজা’ অর্থাৎ মুম্বইয়ের রাজা। যদিও সেরা ইনিংস উপহার দিতে পারেননি রোহিত। ফেরেন মাত্র ৫ রানে। যদিও ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম তাঁকে ঘিরেই আবেগে ভাসল। এদিন অসুস্থতার জন্য খেলতে পারেননি দিল্লি অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল। দিল্লিও লড়াইয়ে পারেনি।

রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। তৃতীয় ওভারে স্কোর ২০ হতেই ফিরে যান ডু প্লেসি (৬) ও লোকেশ রাহুল (১১)। একপর্যায়ে ৬৫ রানে ৫ উইকেট খোয়ানো দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন চারে নামা সামির রিজভি। জসপ্রীত বুমরাহ ৩.২ ওভারে ১২ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ম্যাচ শেষ হতেই সমাজ মাধ্যমে ঘরের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টও করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি লেখেন, ‘প্লে অফে উঠলাম, এবার ওখানেই সকলের সঙ্গে দেখা হবে। গোটা মরশুম জুড়ে যেভাবে আমাদের ভালোবেসেছ ওয়াংখেড়ে, তার জন্য ধন্যবাদ।’ এই নিয়ে ১১ বার প্লে অফে পৌঁছল মুম্বই।