ক্লাসেনের ক্লাসিক সেঞ্চুরিতে হায়দরাবাদের রেকর্ড রান, লজ্জায় ডুবল কলকাতা

প্রদীপ নেভার আগে দপদপ করে জ্বলে ওঠে, ঠিক তেমনই জ্বলে উঠল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাতেই লজ্জায় পুড়ল কলকাতা। টানা তিন ম্যাচে ২০০ প্লাস রানের স্কোর গড়লো হায়দরাবাদ। এবার শেষ ম্যাচে এসে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে গড়লো ২৭৮ রানের ইনিংস। যা তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। জবাবে ১৬৮ রানেই গুটিয়ে যায় কেকেআর। ১১০ রানে হার মাথায় নিয়েই অভিযান শেষ করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। রানের নিরিখে এটি আইপিএলে কেকেরের বৃহত্তম হার। আইপিএলে এটি হায়দরাবাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়।
হায়দরাদের হয়ে অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেড মিলে ৯২ রানের জুটি গড়েন ৬.৫ ওভারে। ১৬ বলে ৩২ রান করে আউট হন অভিষেক। ট্রাভিস হেড ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পর ৪০ বলে ৭৬ রান করে আউট হন। মিডল অর্ডারে একইসঙ্গে জ্বলে উঠলেন হেনরিক ক্লাসেনও। বিদায়ের মুহূর্তটাকে স্মরণীয় করে রাখতে তিনি খেলেন ৩৯ বলে ১০৫ রানের অপরাজিত ঝোড়ো ইনিংস। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ১৭ বলে ফিফটি করার পর তিনি ৩৭ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। আইপিএলের ইতিহাসে যুগ্মভাবে তৃতীয় দ্রুততম শতরান করেন ক্লাসেন। তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে সব থেকে কম বলে সেঞ্চুরি করার সর্বকালীন নজির গড়েন। ২০ বলে ২৯ রান করেন ঈশান কিশান।শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান তুলে ফেলে হায়দরাবাদ।
আইপিএলের । ইতিহাসে এটা কেকেআরের বিরুদ্ধে কোনও দলের সব থেকে বেশি রানের দলগত ইনিংস। পাহাড়প্রমাণ রানের চাপে কলকাতাকে কখনই সাবলীল লাগেনি। ব্যাট হাতে কেউই ভরসা দিতে পারেননি। সর্বোচ্চ রান মনীশ পান্ডের। করেছেন ৩৭। এছাড়া নীতীশ রানা ৩৪,সুনীল নারিন ৩১। বাকিদের অবস্থা আরও শোচনীয়। কুইন্টন ডি’কক ৯, অজিঙ্কা রাহানে ১৫, অংকৃষ রঘুবংশী ১৪, রিঙ্কু সিং ৯ ও রমনদীপ সিং ১৩ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল।