কলকাতাকে ‘আয়োজন’ দেখাল হায়দরাবাদ, নিজাম শহর দেখল ফুটবল জাদুকরের ঝলক
কলকাতা পারেনি। কলকাতাকে দেখিয়ে দিল হায়দরাবাদ। মেসি ক্ষুব্ধ হয়েই যুবভারতী ছাড়েন, সেই মেসিই হায়দরাবাদে গিয়ে মুগ্ধ। পরিকল্পিত অনুষ্ঠান। হায়দরাবাদে কানায় কানায় পূর্ণ রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে মেসিকে ঘিরেই উৎসব। মন ভরিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী। গোটা ভারতেরই ‘গোট ইন্ডিয়া ট্যুর’ এর আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। তিনি হায়দরাবাদে যেতে গিয়েই বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার কারণে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। শেষপর্যন্ত আর যেতে পারেননি। তবে শতদ্রুর অনুপস্থিতিতেই সেখানে দুর্দান্ত অনুষ্ঠান করে দেখালেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী বেরন্ত রেড্ডি। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও।

মেসি স্টেডিয়ামে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বসিত জনতার উল্লাসে ভরে ওঠে গোটা পরিবেশ। রাতের গ্যালারিতে দর্শকদের মেসিকে দেখতে অসুবিধাই হয়নি হায়দরাবাদের দর্শকদের। গোটা মাঠ ঘোরেন মেসি। সেখানে মেসিকে ঘিরে ছিলেন না কোনও ফোড়ে, নেতা, অভিনেতা, মন্ত্রী। বল পায়ে নাচানও মেসিও।

এমনকি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে ফুটবলও খেলেন।মাঠে দু’জনে একসঙ্গে কয়েকটি পাস খেলেন এবং অনায়াসে একটি গোল করেন মেসি।স্প্যানিশ ভাষায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে গল্প করতেও দেখা যায় মেসিকে। আর্জেন্টাইন তারকা রাহুল গান্ধীকে একটি সই করা জার্সি উপহারও দেন। সবশেষে সবার সামনে সুষ্ঠুভাবে সংবর্ধনা জানানো হয় মেসিকে। অনুষ্ঠানেই মেসি বলেন, ‘‘আজ এখানে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা মনে থাকবে।এত ভালোবাসা পেয়ে কৃতজ্ঞ। ভারতে এই ক’টা দিন কাটাতে পেরে গর্বিত।’’ মেসির সঙ্গে হায়দরাবাদে খুশির মেজাজে ছিলেন তাঁর দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও রড্রিগো ডি পলও। সব নিয়ে হায়দরাবাদের ফুটবলপ্রেমীরা যেন স্বপ্নের মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন।

শনিবার রাতে হায়দরাবাদের ফলকনামা প্যালেসে থাকবেন মেসি।তাঁর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ নৈশভোজের। রবিবার হায়দরাবাদ থেকে মুম্বইয়ে যাবেন। সেখানেও নানা অনুষ্ঠান শেষে দিল্লিতে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মেসির দেখা হওয়ার কথা।

