পায়ে ছাতা বেঁধে চিকিৎসা! বেহাল দশা কলকাতা লিগের, জিতল বাগান
স্পোর্টস ডেস্ক: এই সময় খেলা মানেই বৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। আর কাদা মাঠে ফুটবল খেললে চোটের সম্ভাবনাও বাড়ে। আইএফএ’র কাছে এ তথ্য নতুন নয়। বছর বছর এভাবেই খেলা হয় ময়দানে। হয়তো ছেলেখেলাই চলে। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টই হোক বা কলকাতা লিগের প্রিমিয়ারের ম্যাচই হোক, ফুটবলাররা যেন দুধে-ভাতে। মোহনবাগান বনাম রেলওয়ে ম্যাচে যা দেখা গেল, তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। প্রবল বৃষ্টিতে ব্যারাকপুরের বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেডিয়ামের মাঠ এমনিতেই পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল। সেখানেই ম্যাচের ৩৫ মিনিটে চোট পান রেলওয়ের তারক হেমব্রম।
পায়ে চোট, হতে পারে ফ্র্যাকচার। তড়িঘড়ি কোনও উপায় না পেয়ে পায়ের দুদিকে দুটি ছাতা বেঁধে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। এটা পেশাদারিত্ব? এরজন্য মেডিক্যাল বোর্ড? এরজন্য মেডিক্যাল টিম? এরজন্য স্পনসর?ছাতা দিয়ে হবে প্রাথমিক চিকিৎসা! এই ঝুঁকি খেলতে বঙ্গসন্তানরা খেলতে বাধ্য থাকবে? আইএফএ চুপ করে থাকে এসব ক্ষেত্রে।আপাতত তারককে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে কলকাতা লিগে দ্বিতীয় জয়টা ঠিকই পেয়েছে মোহনবাগান।রেলওয়ে এফসি-কে ২-০ গোলে হারাল সবুজ মেরুন। বাগানের হয়ে দুটি গোল করেন সন্দীপ মালিক ও শিবম মুণ্ডা।বৃষ্টি যতই হোক, ম্যাচে বেশ মাথাগরম ছিল দুই দলের ফুটবলারদেরই। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে দুই দলের মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে। বল দখলকে কেন্দ্র করে কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের ফুটবলাররা।
যার পরিপ্রেক্ষিতে রেফারি লাল কার্ড দেখান মোহনবাগানের সালাউদ্দিন ও রেলওয়ের গোলকিপার সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। লাল কার্ড দেখেন রেলওয়ের সৌমিক কোলে। মোহনবাগানের টিম ম্যানেজার রাহুল দত্তকেও লাল কার্ড দেখানো হয়। খেলা বন্ধ থাকে দীর্ঘক্ষণ। মোহনবাগান নেমে যায় দশ জনে। রেলওয়ে সেখানে বাকি সময়টা খেলে ৯ জনে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় মোহনবাগান। পরিবর্ত হিসেবে নামা সবুজ মেরুনের শিবম মুন্ডা ২-০ করে দেন। তবে ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন সন্দীপ মালিক। লিগে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলল মোহনবাগান। তার মধ্যে সবুজ-মেরুনের জয় দুটিতে।