হার্দিক-তিলকের ব্যাটিং তাণ্ডবের পর বরুণের ভেলকি! প্রোটিয়া বধে টি২০ সিরিজ জয় ভারতের
আহমেদাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি২০ সিরিজ জয় ভারতের। অতিরিক্ত কুয়াশায় লখনৌতে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি হয়নি। তাই পঞ্চম ও শেষ ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে ছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। হতাশ করেননি তিলক বর্মা, হার্দিক পাণ্ডিয়া, বরুণ চক্রবর্তীরা। ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় ভারতের। শেষ ম্যাচে ভারতের ৫ উইকেটে ২৩১ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানে। ভারতের জয় আসে ৩০ রানে। এই জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান তিলক বর্মা এবং হার্দিক পান্ডিয়া। সঙ্গে বল হাতে বুমরাহ এবং বরুণ চক্রবর্তীর।

আহমেদাবাদেও টস ভাগ্য সহায় হয়নি সূর্যকুমারের। টস জিতে ভারতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ভারত পাওয়ার প্লেতে যোগ করে ৬৭ রান। হারায় ১ উইকেট। অভিষেক শর্মা ফেরেন ৩৪ রানে। ৯৭ রানে ভারত হারায় দ্বিতীয় উইকেট। অন্য ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ৩৭ রান করেন। তিনে নামা তিলক ভার্মা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই খেলতে থাকেন। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এদিনও ফ্লপ। সূর্য ফেরেন মাত্র ৫ রান করে। এরপর নতুন ব্যাটার হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন তিলক। দুজনে মিলে গড়েন ১০৫ রানের জুটি। পেরিয়ে যায় ২০০ রানে গণ্ডি। দু’জনেই পেরিয়েছেন হাফসেঞ্চুরির গণ্ডি। তিলক ৩০ বলে ও হার্দিক হাফসেঞ্চুরি করেন মাত্র ১৬ বলে।২৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে হার্দিক শেষ ওভারে আউট হন। ইনিংসে সাজানো ছিল ৫টি করে চার ও ছক্কা । ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ভারতের হয়ে ৪২ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রান তিলক রানআউট হন। ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে দলের রান ২৩১ রানে নিয়ে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন শিভম দুবে।
২৩২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন কুইন্টন ডি কক। তিনি ৩৫ বলে ৬৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের মাঝপথে ধস নামান বরুণ চক্রবর্তী। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৪টি উইকেট তুলে নিয়ে প্রোটিয়া মিডল অর্ডার ভেঙে দিলে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। বরুণ নেন ৪ উইকেট। বুমরাহ নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পান অর্শদীপ ও হার্দিক। এই ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি শুভমন গিল।
