ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে আড়াই দিনও লাগল না ভারতের, ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত জাদেজা

আড়াই দিনে খেলখতম। আহমেদাবাদে ব্যাটের পর বলেও রাজ রবীন্দ্র জাদেজার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে এক ইনিংস এবং ১৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিল ভারত। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬২ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে লোকেশ রাহুল, ধ্রুব জুরেল আর রবীন্দ্র জাদেজার তিন সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। তখনই বলতে গেলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। ২৮৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবিয়ানরা তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে শেষ হওয়া এই ম্যাচের পুরোটা জুড়েই যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাস্তানাবুদ হওয়ার খবর। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ৪৫.১ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ১৪৬ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন অলিক আথানাজে। জাস্টিন গ্রিভসের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি একাই শিকার করেছেন ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পাওয়া সিরাজ এবার পেয়েছেন ৩ উইকেট। শেষ ১৫ টেস্ট ইনিংসে একবারও ২৮৬ রান পার করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বোচ্চ স্কোর ২৫৩। ওই ১৫ ইনিংসে ২০০ পার হতে পেরেছে মাত্র দুবার।ভারতও তাই ২৮৬ রানকেই নিরাপদ মনে করেছিল। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে খেলা হয়েছে ২১৭ ওভার ২ বল। পড়েছে ২৫ উইকেট। সেঞ্চুরির পাশাপাশি বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। টেস্টে ১১তমবারের মতো ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা, যা ভারতের হয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রাহুল দ্রাবিড়ও ম্যাচসেরা হয়েছেন ১১ বার। সবচেয়ে বেশি ১৪ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন শচীন তেন্ডুলকর। এছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ছক্কা মারার তালিকায় ধোনির সঙ্গে জাদেজার তুলনা হয়। ধোনি তার কেরিয়ারে ৭৮টি সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে জাদেজা এই কৃতিত্বের সমান হন।সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ১০ অক্টোবর শুরু হবে দিল্লিতে।