থাইল্যান্ডের কাছে হার সুনীলদের, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কোচের চিন্তা বাড়ল

0





আগামী সপ্তাহেই এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠার লড়াই ভারতের। খেলতে হবে হংকংয়ের বিরূদ্ধে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হংকংয়ের বিরুদ্ধে না জিততে পারলে ২০২৭-এ আবু ধাবিতে মূলপর্বে খেলার রাস্তা কঠিন হয়ে উঠবে সুনীল ছেত্রীদের। কিন্তু তার প্রস্তুতিতে ফিফার ক্রম তালিকায় ৯৯ নম্বরে থাকা থাইল্যান্ডের কাছে ২-০ গোলে হেরে বসলেন ছেত্রীরা। একাধিক গোলের সুযোগ নষ্টেরই খেসারত দিল মার্কেজের দল। প্রায় ফাঁকা গোল পেয়েও যে ভাবে অনেকটা এগিয়ে আসা গোলকিপারের গায়ে বল মেরে অবধারিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন লিস্টন কোলাসো, যে ভাবে তাঁর সাজিয়ে দেওয়া বল গোলের সামনে থেকেও মিস করেন আশিক কুরুনিয়ান, সেগুলিকে অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে। সবচেয়ে বড় কথা শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া সত্ত্বেও ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে যে আগ্রাসী মানসিকতার অভাব দেখা যায়, তা নিশ্চয়ই কোচকে চিন্তায় ফেলতে বাধ্য। কলকাতা থেকে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে থাইল্যান্ডে গিয়েছে ভারতীয় দল। দুটো ম্যাচে জিতলেও খুব একটা আহামরি ফলাফল বলা যাবে না। খেলার ৮ মিনিটেই প্রথম গোলটি পেয়ে যায় থাইল্যান্ড। অনবদ্য গোল করে তাদের এগিয়ে দেন বেন ডেভিস। প্রথমার্ধে আর গোল আসেনি। থাইল্যান্ড দ্বিতীয় গোলটি পায় ম্যাচের ৫৯ মিনিটে। গোল করেন আর্জভিলাই। ফলে ভারতের রক্ষণেও বেশ দুর্বলতা প্রকট বোঝা যায়।  ম্যাচের বয়স এক ঘণ্টা হওয়ার আগেই দু’গোলের ধাক্কা সামলানোর অনেক চেষ্টা করেও পারেনি ভারতের আক্রমণ বিভাগ। বারবার আক্রমণ করেও প্রতিপক্ষের গোল এরিয়ায় গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে তারা এবং তাতেই তাদের দুর্বলতা প্রকট হয়ে ওঠে। ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথাতেই কোলাসোর মাপা ফ্রি কিক থেকে গোলের সামনে উড়ে আসা বলে হেড করেন সুনীল ছেত্রী। কিন্তু থাই গোলকিপার সারানন আনুইনের অসাধারণ সেভ তাঁকে গোল শোধ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। একবার সুনীল ছেত্রীর একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ হয়। ৩৩ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক দিয়ে উঠে বক্সে ঢুকে গোললাইনের সামনে আশিককে গোলের বল প্রায় সাজিয়ে দেন কোলাসো। বল ঠিকমতো গোলে ঠেলতে পারলে অবশ্যই গোল পেতেন আশিক। কিন্তু তিনি পারেননি। ৪০ মিনিটের মাথায় অভিষেকের দূরপাল্লার শট কয়েক ইঞ্চির জন্য গোলের বাইরে বেরিয়ে যায়।  তাছাড়া সেভাবে ভালো সুযোগ আসেনি। শেষ দিকে থাইল্যান্ড ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ পায়। কিন্তু ততক্ষণে ভারতীয় দলের রক্ষণ অনেকটাই সতর্ক হয়ে উঠেছিল। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *