২০ কোটি টাকার জয়ের সেলিব্রেশনে মৃত্যুর মূল্য ৫ লাখ! শোকপ্রকাশ বিরাটের

আইপিএল জয়ের আনন্দ বদলে গিয়েছে মৃত্যুর বিষাদে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে যখন মৃত্যুমিছিল, তখন ভেতরে চলেছে সেলিব্রেশন। তা নিয়ে ধিক্কার জানায় সকলেই। এরওপর বিরাটদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে দিয়েছিল আরসিবি। কিন্তু জয়ের উৎসবে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় উল্টো প্রতিক্রিয়াই দেখা যায়। জনরোষের আঁচ পেয়েই সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে মুছে দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রায় ৬ ঘণ্টা পর সরকারিভাবে বিৃবতি দিয়ে শোকজ্ঞাপন করে। সেখানে লেখা, ‘আজ বিকেলে দলের ঘরে ফেরার প্রত্যাশায় বেঙ্গালুরু জুড়ে জনসমাগম হয়েছিল। মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশিত মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করছে আরসিবি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই। পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কর্মসূচি পরিবর্তন করেছি এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ এবং পরামর্শ অনুসরণ করেছি। আমরা আমাদের সমস্ত সমর্থকদের নিরাপদে থাকার অনুরোধ করছি।’ পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত অন্তত ১১ জন। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। আইপিএল ট্রফি জয়ে ২০ কোটি টাকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে পেয়েছে আরসিবি। তাদেরই সেলিব্রেশনে গিয়ে প্রাণহানি হয় ভক্তদের। এরপর প্রিয়জনদের হারানো প্রতিটি পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে আরসিবি ও কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট সংস্থা। বিরাট কোহলির সেলিব্রেশন নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। তবে সমাজ মাধ্যমে বিরাট কোহলি থেকে শচীন তেন্ডুলকর। বিরাট কোহলি সমাজ মাধ্যমে আরসিবি-র শোকজ্ঞাপন শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা নেই। পুরোদস্তুর ভেঙে পড়েছি।’ সমাজ মাধ্যমে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাইরে ঘটা পদপিষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনাকে ‘বিপর্যয়ের চেয়ে বেশি’ বলে বর্ণনা করেছেন শচীন তেন্ডুলকর। নিহতদের পরিবারের জন্য হৃদয় কাঁদছে তাঁর। সকলকে শান্তি এবং শক্তি দেওয়ার আর্জি জানান।