ক্রীড়া আদালতের রায়ে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ইন্টার কাশী, মুখ পুড়ল এআইএফএফের
স্পোর্টস ডেস্ক: শেষপর্যন্ত বদলেই গেল আই লিগ চ্যাম্পিয়ন। ২০২৪-২৫ মরশুমের আইলিগ চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ইন্টার কাশীর নাম ঘোষণা করে দিল ক্রীড়া আদালত বা CAS। ফলে, সমস্ত জটিলতা কাটল। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের রায় ধোপে টিকল না আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে। এর আগে ফেডারেশন চার্চিল ব্রাদার্সকেই আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছিল। ইন্টার কাশীকে চ্যাম্পিয়ন করার পাশাপাশি ক্রীড়া আদালত ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে বিরাট অঙ্কের জরিমানাও করেছে। এছাড়া চার্চিল ব্রাদার্স, নামধারী এফসি এবং রিয়াল কাশ্মীরকেও জরিমানা করা হয়েছে।
এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল ইন্টার কাশীর স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মারিও বারকোকে ঘিরে। মরশুম শুরুর আগে তাঁকে দলে নিয়েছিল কাশী। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে চোট পাওয়ায় তাঁর জায়গায় নেওয়া হয় মাতিজা বাবোভিচকে। পরে আরও এক বিদেশি ফুটবলার জুয়ান পেরেজ ডেল পিনো কাশীর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করলে, সুস্থ হয়ে ওঠা বারকোকে আবার দলে ফেরায় ইন্টার কাশী।
এআইএফএফের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি এই ‘ডাবল রেজিস্ট্রেশন’-এর বিরোধিতা করে জানায়, এটা নিয়মবিরুদ্ধ। তবে ক্রীড়া আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আই-লিগের ৬.৫.৭ ধারা অনুযায়ী বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনটি বদল অনুমোদিত, ফলে ইন্টার কাশীর পদক্ষেপ পুরোপুরি বৈধ।
সে’সময়ই নামধারী এফসি’র বিরুদ্ধে ০–২ গোলে হেরে গিয়েছিল ইন্টার কাশী। হারের পরেই ইন্টার কাশী অভিযোগ তোলে, ওই ম্যাচে ‘অবৈধ প্লেয়ার’ খেলিয়েছিল নামধারী। বিষয়টা ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে ইন্টার কাশীকে তিন পয়েন্ট ও তিন গোল দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফেডারেশনের আপিল কমিটিতে আবেদন করে নামধারী। তখন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় ফেডারেশনের আপিল কমিটি। স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করে সুইৎজারল্যান্ডে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হয় ইন্টার কাশী।
সেখানে ফেডারেশনের রায় খারিজ করে দিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত। এরফলে কাশীর পয়েন্ট দাঁড়ায় ৪২। আদালতের রায়ের পর পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেল চার্চিল। ইন্টার কাশীর কোচ ছিলেন আন্টেনিও লোপেজ হাবাস। মোহনবাগানের হয়ে লিগ শিল্ড আর এটিকের হয়ে আইএসএল জেতেন তিনি। এবারে ইন্টার কাশীকেও চ্যাম্পিয়ন করলেন।