প্রচারের আলো থেকে সরে গিয়েছিলেন, শেষে বুটজোড়া তুলে রাখলেন রাকিটিচ

0

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রচারের আলো থেকে অনেকদিনই সরে গিয়েছিলেন। এবার ফুটবল থেকেই সরে গেলেন। বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন বার্সেলোনা ও ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ। দীর্ঘ দুই দশকের বর্ণময় ফুটবল কেরিয়ারের পর সব ধরনের পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানাতে গিয়ে স্বভাবতই আবেগপ্রবণ এই ফুটবলার। সমাজ মাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় অবসরের কথা জানাতে গিয়ে লেখেন, ‘ফুটবল, তুমি আমাকে আমার কল্পনার চেয়েও অনেক বেশি দিয়েছ। তুমি আমাকে জয়, পরাজয়, শিক্ষা এবং অসংখ্য জীবনের বন্ধু উপহার দিয়েছ। এমন একটি পথ তুমি আমাকে দিয়েছ, যার প্রতিটি পদক্ষেপেই রয়েছে গল্প। তুমি আমাকে দিয়েছ একটি সুন্দর পরিবার ও স্মরণীয় সব মুহূর্ত, যা আমি সারাজীবন হৃদয়ে লালন করব।’বার্সেলোনার সোনালি সময়ে রাকিটিচ ছিলেন যেন নীরব সৈনিক।

২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে গোল করে বার্সাকে খেতাব জেতান। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা পালন করেন তিনি। লাল-সাদা জার্সিতে ১০৬ ম্যাচে ১৫ গোলও আছে তার। এর আগে, ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন এই মিডফিল্ডার। এর পর ২০২৪ সালেই ফেরেন নিজের দেশের ক্লাব হাজদুক স্প্লিতে। এখনও খেলছিলেন সেখানেই।

ক্লাব ফুটবলেও শেষের শুরু হয় ২০২০ থেকেই। ওই বছরেই বার্সা ছেড়ে ফেরেন সেবিয়াতে। ৩ বছর খেলে, যোগ দেন সৌদি প্রো লিগে। কেরিয়ারে পতন হয় আরও। যদিও আল শাবাবের হয়ে খেলেননি বেশি ম্যাচ। তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায় কেটেছে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়া ও বার্সেলোনায়। বার্সেলোনার জার্সিতে তিনি ছয় মরশুমে জিতেছেন চারটি লা লিগা, চারটি কোপা দেল রে এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ১৩টি ট্রফি। সুইত্জারল্যান্ডে এক ক্রোয়াট পরিবারে জন্ম নেওয়া রাকিটিচ মাত্র চার বছর বয়সে ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন। এফসি বাসেলের কিশোর ও যুব দল হয়ে উঠে আসেন ক্লাবটির সিনিয়র দলে। ২০০৭ সালে তিনি যোগ দেন জার্মান ক্লাব শালকেতে। কেরিয়ারে সবচেয়ে বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন সেভিয়ায়। সেরা সময় কাটিয়েছেন বার্সেলোনায়।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *