‘প্রথমবার জন্মদিনে পায়েস খেলাম…’ কলকাতায় এসে আর কী কী উপহার পেলেন ‘ডিয়ার’ জয়া?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: বরাবরই উদযাপনে বিশ্বাসী নন। কেবলমাত্র ‘তারকা’ বলেই জন্মদিনটিকেও প্রচারের আলোয় আনতে হবে, এমনটা একেবারেই মনে করেন না জয়া আহসান। ও পার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও এ পার বাংলার মানুষের কাছেও তিনি হয়ে উঠেছেন ‘ডিয়ার’। এ বারের জন্মদিনটাও কাটালেন কলকাতার মানুষদের সঙ্গেই।
১ জুলাই জয়ার জন্মদিন। যদিও অভিনেত্রী এখন ব্যস্ত তাঁর ছবি ‘ডিয়ার মা’র প্রচার নিয়ে। তাই জন্মদিনেও নিজের বাড়ি থেকে দূরে। অভিনেত্রীর কথায়, “আগে কাজ, তারপর সব কিছু…” যদিও বার্থ ডে গার্লের জন্য আপ্যায়নে কমতি ছিল না। ‘ডিয়ার মা’ ছবির টিমের পক্ষ থেকেই বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল এক দিন আগে। পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী এবং টিমের সদস্যদের সঙ্গে কেক কাটলেন তিনি। খেলেন পায়েস। আর তাতেই মুগ্ধ পদ্মা পাড়ের সুন্দরী। জয়া বলেন, “আমি প্রথমবার আমার জন্মদিনে পায়েস রান্না হল। কেউ আমায় খাওয়াল। খুব ভালো লাগছে। এই অভিজ্ঞতাটা আমার প্রথম।”
এর আগেও বহুবার কলকাতায় এসেছেন জয়া। যদিও জন্মদিনের উদযাপনটা এই প্রথম। অভিনেত্রী বলেন, “আমি জন্মদিন সাধারণত নিজের থেকে উদযাপন করি না। সকলে আসে। ভালবাসা দেয়। শুভেচ্ছা জানায়। খুব ভাল লাগে। ঘটা করে উদযাপন এ বারেই হচ্ছে।” একটু হেসে বলেন, “আসলে আমার খুব বোকা বোকা লাগে কেক কাটতে। আমি অভিনয় করি বলে আরও বিষয়টিকে প্রচারের আলোয় আনা হয়। আমার খুব বোকা বোকা লাগে। ‘ডিয়ার মা’র টিমের পক্ষ থেকে আমার জন্য সুন্দর একটা আয়োজন করা হয়েছে। যার জন্য আমি সত্যিই আপ্লুত।” কী কী উপহার পেলেন জয়া? তিনি বলেন, “তিন-চারটে দারুণ উপহার পেয়েছি। একটা স্পিকার পেয়েছি গান শোনার জন্য। আমার আরেক বন্ধু আমায় একটা শাড়ি দিল। আমার ‘অনস্ক্রিন’ মেয়ে আমায় একটা গাছ উপহার দিয়েছে। কারণ ও জানত আমি গাছ পেলে ভীষণ খুশি হই।”
মেয়েবেলার কথা মনে পড়ে? ভাবুকভাবেই বলেন, “আমার মনে পড়ে ছোটবেলায় আমি একবার পরীর মতো একটা জামা পরেছিলাম। আর বেল মুন্ডা ছিল আমার মাথা। একটাও চুল নেই। কপালের পাশে বড় একটা কালো টিপ যাতে নজর না লাগে। খুব বোকা বোকা ছিল বিষয়টা।”