‘আমি আর আবীর যেন একসঙ্গে বড় হয়ে উঠেছি’, অভিনেতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন জয়ার?

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:

দু’জনেই নামজাদা তারকা। বাংলার দুই পাড়ের মানুষ হলেও অভিনয়ের মাধ্যমেই যেন মিশে গিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং আবীর চট্টোপাধ্যায়। একে অপরের সঙ্গে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই যে কাজ করেন তাঁরা, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ ছবির হাত ধরেই।

জয়া এবং আবীরের প্রথম একসঙ্গে কাজ ২০১২ সালে। তারপর ঝুলিতে যোগ হয়েছে একের পর এক ছবি। ‘বিজয়া’, ‘বিসর্জন’, ‘রাজকাহিনী’র মতো ছবিতে তাঁদের অভিনয় দাগ কেটেছে দর্শকদের মনে। আবারও পর্দায় জয়া এবং আবীর। নেপথ্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস। পরিচালনায় সুমন মুখোপাধ্যায়। এই ছবির হাত ধরেই আবার চিরচেনা সহ-অভিনেতার সঙ্গে কাজ। কেমন অভিজ্ঞতা পদ্মাপারের সুন্দরীর?

প্রশ্ন উঠে আসতেই আবীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিনি। জয়া বলেন, “আমি আবীরের সঙ্গে প্রথম কাজ করেছি ২০১২ সালে। এখন ২০২৫-এ এসে দাঁড়িয়ে। এর মাঝেও বেশ কিছু কাজ আমাদের একসঙ্গে হয়েছে। সহ-অভিনেতা হিসেবে বোধহয়, আমি আবীরকেই সবচেয়ে বেশিবার পেয়েছি। আমরা যেন একসঙ্গে বড় হয়েছি। বেড়ে উঠছি ধীরে ধীরে। বয়সের দিক থেকে। জীবনের অভিজ্ঞতার দিক থেকে এবং অভিনেতা হিসেবেও। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে আমরা কে কোথায় পৌঁছেছি, সেটা আমি বিচার করব না।”

তিনি আরও বলেন, “আবীরের সঙ্গে কাজ করতে আবার বরাবরই ভাল লাগে। আমরা সহ-অভিনেতা, বন্ধু, সহ-কর্মী। সবকিছু মিলিয়েই ওর সঙ্গে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।”

এ ছাড়াও ছবিতে অভিনেতার ‘চরিত্র’টিকে ঘিরেও বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না, ‘শশী’ চরিত্রটিকে ও ছাড়া আর কেউ এত ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারত কি না। বিদেশেও দেখেছি মানুষ কতটা প্রশংসা করছেন। কারণ বিদেশের মানুষ বাংলাটাকেই ছবির মধ্যে দেখতে চায়। ‘শশী’র মতো চরিত্র পশ্চিমের দেশেও রয়েছে, বাংলাতেও রয়েছে। কাজেই সেই দেশের বাইরের মানুষ যখন চরিত্রটার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে, তার মানে আবীর পাশ করে গিয়েছে।”

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *