অক্টোবর মাস যেন হাসি কেড়ে নেওয়ার! আসরানির পর প্রয়াত ‘সারাভাই’ সতীশ শাহ
এই অক্টোবর মনখারাপের। হাসি থামিয়ে দিয়ে কান্নার। শোকের। বলিউডে ফের নক্ষত্রপতন। দীপাবলির রাতে দীপ নিভে গিয়েছে কমেডিয়ান আসরানির। এ বার চলে গেলেন আর এক কমেডিয়ান সতীশ শাহ। শনিবার দুপুরে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলিউড এই অভিনেতা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে কিডনি প্রতিস্থাপনও করিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। আর এক কমেডিয়ান অভিনেতা জনি লিভার লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমরা একজন মহান শিল্পী এবং আমার ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রিয় বন্ধুকে হারালাম। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে ৷ দু’দিন আগে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সতীশ ভাই, আপনার অভাব সত্যিই অনুভূত হবে। সিনেমা এবং টেলিভিশনে আপনার অসামান্য অবদান কখনও ভোলা যাবে না।’

চার দশকেরও বেশি সময়জুড়ে অভিনয়জীবনে অসংখ্য জনপ্রিয় চরিত্র উপহার দিয়েছেন সতীশ শাহ। ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবির মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি। এরপর ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’, ‘হম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ থেকে শুরু করে ‘ম্যায় হুঁ না’— প্রতিটি সিনেমাতেই তার অভিনয় দর্শকের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। ১৯৮৩ সালে ‘জানে ভি দো ইয়ারো’-তে কমিশনার ডি’মেলো চরিত্রের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। এর আগে তিনি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এরপর ‘ইয়ে জো হ্যায় জিন্দেগি’ এবং ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছোন৷ ইন্দ্রবর্ধন সারাভাইয়ের চরিত্রে সতীশের অভিনয় ভারতীয় টেলিভিশন জগতের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় কৌতুক চরিত্রগুলির মধ্যে একটি। নিজের দক্ষ অভিনয়ের মাধ্যমে সকলের ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁদের কোনও সন্তান নেই৷পরিচালক অশোক পণ্ডিত লিখেছেন, ‘অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি, আমাদের প্রিয় বন্ধু সতীশ শাহ আর নেই। কিডনি বিকল হয়ে তিনি আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। ইন্ডাস্ট্রির জন্য এটি এক অপূরণীয় ক্ষতি।’ ১৯৭২ সালে তিনি ডিজাইনার মধু শাহকে বিয়ে করেন। নিঃসন্তান সতীশ সাহ কাজের বাইরে বরাবরাই প্রচারবৃত্ত থেকে দূরে থেকেছেন। এখন চলে গেলেন আলোকবর্ষ দূরে…।

