পেশার ঊর্ধ্বেও গান জীবনের অঙ্গ, ছোটবেলায় বাচ্চাদের পুতুল থাকে, আমার ছিল গান: জোজো
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: মঞ্চে তিনি গান ধরলেই নেচে ওঠে আট থেকে আশির মন। তাঁর কণ্ঠে পপ সঙ্গীতও যেন ধরা দেয় নতুন রূপে। সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বরাবরই নিজের ছন্দে সকলের মন জয় করা এই গায়িকা হলেন জোজো মুখোপাধ্যায়। অনুরাগীদের কাছে তিনি পরিচিত ‘মিস জোজো’ হিসেবেই। দীর্ঘদিনের সঙ্গীতজীবন। বড় হয়ে ওঠা গান-বাজনার মধ্যে দিয়েই। ‘বিশ্ব সঙ্গীত দিবস’ যে তাঁর কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, সেটাই স্বাভাবিক।
আডিশনের তরফে তাঁর সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে আমরা ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’ পালন করতাম না। এটা পুরোটাই এসেছে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে। আমরা অনেক কিছুই তাঁদের থেকে গ্রহণ করেছি। এতগুলো ‘দিবস’ যখন পালিত হচ্ছেই, তা হলে ‘সঙ্গীত দিবস’-এরও একটা গুরুত্ব থাকবেই। যে ভাবে আমেরিকায় এই দিনটি পালিত হয়, একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আমার কাছে এটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও শিল্পী হিসেবে প্রতিটা দিনই আমার কাছে ‘সঙ্গীত দিবস”।
জোজোর কাছে ‘গান’ আসলে কী? তাঁর সোজাসাপটা জবাব, “আমার কাছে গান জীবনের একটা অঙ্গ। আমার বড় হয়ে ওঠার একটা অঙ্গ। আমার মনে হয় গান মানুষকে যে কোনও পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে পারে এবং যে কোনও পরিস্থিতির মধ্যে ফেলতেও পারে।” জোজোর ছোটবেলাটা কেটেছে গানের মধ্যে দিয়েই। তিনি বলেন, ” গানের সফর শুরু হয়েছিল আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে। কারণ আমার বাবা-মা গানের জগতের মানুষ ছিলেন। গান গাইতেন। আমি এমন একটা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি, এটা আমার সৌভাগ্য। বাচ্চাদের কাছে যেমন খেলনা-পুতুল থাকে। আমার সঙ্গে গান ছিল গান।”
অনেকেই মনে করেন, আজকের দিকে দাঁড়িয়ে উদযাপনের জৌলুসের আড়ালে ফিকে হয়ে যাচ্ছে গানের ঐতিহ্য। তবে গায়িকা জোজোর মতামত কিন্তু ভিন্ন। তিনি বলেন, “ঐতিহ্য একটুও হারাচ্ছে না। কারণ আমি যা-ই গান করি না কেন, দিনের শেষে কিন্তু শিকড়ের টানে ফিরতেই হয়। আমি এটা বিশ্বাস করি কারণ, আজও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে যদি কোনও পরিস্থিতিতে গান ব্যবহার করতে হয়, তা হলে প্রথমেই তালিকায় থাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান। আর সেটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। তাই এই ঐতিহ্য কোনওদিনই হারাবে না। আমাদের শিকড়ের গান, আমাদের লোকসঙ্গীত, নজরুল গীতি, এই সব কিছুই আমাদের মধ্যে আজীবন থেকে যাবে।