প্রশংসা করুন বা নিন্দা, কিন্তু কুণাল ঘোষকে কেউ উপেক্ষা করতে পারবেন না: কুণাল
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: রাজনীতির ময়দানের দাপুটে ব্যক্তিত্বের এ বার সিনেমায় অভিষেক। তাও আবার পলিটিক্যাল থ্রিলার। অরিন্দম শীলের আগামী ছবি ‘কর্পূর’-এ অভিনয় করতে চলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি অনুষ্ঠানে এসে কিছুটা আত্মবিশ্বাসের হাসি রেখেই বলেন, “অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যদি রাজনীতিতে এসে সফলভাবে কাজ করতে পারেন, আমি অভিনয় করে দেখাতে পারব না কেন!”
সদ্যই প্রকাশ্যে এসেছে ছবির চরিত্রদের ঝলক। সেখানে একে বারে নতুন অবতারে ধরা দিয়েছেন তিনি। কুণাল ঘোষের কথায়, “আমি আজ পর্যন্ত আমার কোনও কাজে ব্যর্থতার ছাপ রাখিনি।” তাও কি চ্যালেঞ্জিং লাগছে বিষয়টি?
তিনি বলেন, “আমি সিনেমা, নাটকের খুব ভক্ত। ছোট থেকেই দেখে আসছি। পরিচালক অরিন্দম শীলেরও অনেক ছবি দেখেছি। তার উপর এটা আবার পলিটিক্যাল থ্রিলার। আমার সিনেমা নিয়ে আগ্রহ, তেমনই রাজনীতি নিয়ে। অরিন্দমের ছবিতে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্রে সুযোগ পেয়েছি, সেটার জন্যেই আমি রোমাঞ্চিত। আর ছবিটাকে নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। আমি এখনও পর্যন্ত যা যা কাজ করেছি, কোথাও ব্যর্থতার ছাপ রাখিনি। এই ছবিটার জন্যেই আমার যা চর্চা করার, অনুশীলন করার, আমি করছি।” তিনি আরও বলেন, পরিচালক অরিন্দম আমার শিক্ষক। আমার বন্ধু ব্রাত্য বসু এই ছবিতে আছেন। তাঁর থেকেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস্ নিয়েছি।”
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার মনীষা মুখোপাধ্যায়ের রহস্যের আধারেই অরিন্দমের ‘কর্পূর’। সত্য ঘটনা অবলম্বনে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন লেখিকা দীপান্বিতা রায়। নাম ‘অন্তর্ধানের নেপথ্যে’। সেই উপন্যাসের অবলম্বনেই তাঁর নতুন ছবি। যেখানে দ্বৈত ভূমিকায় নজর কাড়বেন কুণাল। তিনি নিজেই বলেন, “২০ বছরের তফাতে দু’টো চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। একবার ১৯৯৭-৯৮ সালের চরিত্র আবার কাট টু ২০১৯। সেই মতো লুক, সংলাপ, ঘটনাক্রম– আমি খুব উত্তেজিত।”
রাজনীতি নাকি অভিনয়, এই মুহূর্তে কাকে এগিয়ে রাখছেন তিনি? কুণাল বলেন, “আমাকে জীবন যখন যেটা দেবে, সেটাই উপভোগ করব। রাজনীতির ময়দান হোক বা অভিনয়ের জগৎ আমি চেষ্টা করব সব ক্ষেত্রেই সফলভাবে কাজ করার।”
সবশেষে নিজের কুণালসুলভ হাসি হেসেই তিনি বলেন, “আমার স্বর্গ এবং নরক, দু’টোই দেখা। আমার কেউ প্রশংসা করতে পারেন বা সমালোচনা। কিন্তু কুণাল ঘোষকে কেউ উপেক্ষা করতে পারবেন না।”