যুবভারতীতে লিস্টন ‘শো’, ডুরান্ডে দশ জনের মোহনবাগানও হারিয়ে দিল মহমেডানকে

0




নামেই মিনি ডার্বি। যুবভারতীতে মেরেকেটে পনেরো হাজার দর্শকও দু’প্রধানের ছিল কিনা সন্দেহ। প্রায় ফাঁকা মাঠেই লিস্টন কোলাসো ‘শো’ দেখালেন। দুটো গোল করলেন, একটা করালেন।  ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিংকে ৩-১ গোলে হারাল মোহনবাগান। তাও আবার ৪৭ মিনিট দশ জনে খেলে। যথারীতি, ডায়মন্ড হারবারের পর মোহনবাগানের কাছেও ডুরান্ডে হারল সাদা কালো ব্রিগেড। মোহনবাগানের হয়ে জোড়া গোল করেন লিস্টন কোলাসো এবং অন্যটি সুহেল ভাট। মোহনবাগানের খেলায় কলকাতা লিগে ডার্বি হারের কোনও জড়তা ছিল না। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে মূল দলই নামান বাস্তব রায়। সবুজ-মেরুন জার্সিতে প্রথম ম্যাচ খেলেছেন অভিষেক সিং টেকচাম। দলে ছিলেন কিয়ান নাসিরি, লিস্টন কোলাসোরা। যদিও বিদেশি ছিলেন না।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে মোহনবাগান। প্রথম গোল আসে ২২ মিনিটেই। বক্সের বাইরে ফাউল করেন মহমেডানের লালমানওয়ামা। ফ্রি কিক পায় মোহনবাগান। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। এরপরেও একের পর এক সুযোগ পেয়ে যায় মোহনবাগান তবে গোল হয়নি। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত আসে প্রথমার্ধেই, যখন মোহনবাগানের মিডফিল্ডার আপুইয়া লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ৪৫ মিনিটে আপুইয়া মহমেডানের টাংভা রাগুইকে ঢুঁসো মেরে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যান তিনি৷কিছুটা হলেও চাপে পড়ে মোহনবাগান। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহনবাগান। বিরতির পরই খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে সমতায় ফেরে সাদা-কালো ব্রিগেড৷লালথানকিমার দূরপাল্লার শট বিশাল কাইথ চাপড় মেরে সামনে ফেললে অ্যাশলে তা জালে পাঠান৷এই সময় মনে হচ্ছিল ম্য়াচের পট-পরিবর্তন হতে পারে৷তবে মোহনবাগান এগিয়ে যায় ৬৩ মিনিটে। গোল সুহেল আহমেদ ভাটের। একক দক্ষতায় তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে সুহেল ভাটকে বল দেন লিস্টন কোলাসো। গোলকিপারকে একা পেয়ে শট নেন সুহেল। সে বল গোলকিপার ফিরিয়ে দিলেও, ফিরতি শটে জালে পাঠাতে ভুল করেননি। শেষ বেলায় লিস্টনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন মিতেই। পেনাল্টি পেল মোহনবাগান। ৩-১ করে দেন কোলাসোই।মধ্যরাতেই শহরে পা রাখবেন হোসে মোলিনা। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ডাগআউটে থাকবেন তিনি৷

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *