যুবভারতীর আকাশে ‘এয়ার শো’, ফুটবলে শট মেরে উদ্বোধন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

যুবভারতীতে ফুটবলে কিক করে ডুরান্ড কাপের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’বছর আগেও তিনি বলে কিক মেরে ডুরান্ডের উদ্বোধন করেছেন। গতবছর ছিলেন, এবারও তাঁর পায়ের শটেই শুরু হল ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট। এদিন মাঠে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারিরা। এছাড়াও ছিলেন সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের পদাধিকারীরা। ডুরান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যার মূল আকর্ষণ ছিল ছৌ নাচ।ছিল গোর্খা রেজিমেন্টের ‘কুকরি শো’ থেকে শুরু করে শিখ রেজিমেন্টের ‘ভাংড়া’। এছাড়াও মার্শাল আর্টের বিশেষ শো ছিল। গ্রামছাড়া রাঙ্গা মাটির পথ দিয়ে শুরু করে জয় হো, চক দে ইন্ডিয়ার সঙ্গে পা মেলায় বিভিন্ন রেজিমেন্ট। ফুটবলারদের লাইন আপের সময় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার পাইলটরা যুবভারতীর উপর ‘এয়ার শো’ করেন। বিকেল ৪.৪০ মিনিটে যুবভারতীতে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর দুই দলের ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ডুরান্ড কাপ প্রাচীনতম টুর্নামেন্টে। ১৮৮৮ সালে শুরু হয়েছে। আজকে ইস্টবেঙ্গল খেলছে। বাংলায় শুরু হল। এবার বাংলার চারটে দল অংশ নিচ্ছে। আমরা গর্বিত’। যদিও আইএসএলের মতো টুর্নামেন্ট ঘিরে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি। এদিন উদ্বোধনী আসরে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানের ওপরও নৃত্য দেখা যায়।ডুরান্ডের আকর্ষণ বাড়াতে এবারে পুরস্কারমূল্যে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।আগের মতো আর ১.২০ কোটি নয়, এবার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৩ কোটি টাকা। রানার্স আপ দল পাবে ১.৫ কোটি টাকারও বেশি। বাংলা থেকে এবার খেলছে চার দল। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান স্পোর্টিংয়ের পাশাপাশি খেলবে ডায়মন্ড হারবার এফসি’ও। এ বারের ডুরান্ড হবে ভারতের পাঁচটি শহরের মোট ছ’টি মাঠে। এগুলি হল- কলকাতার যুবভারতী ও কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম, অসমের কোকরাঝাড়, মণিপুরের ইম্ফল, মেঘালয়ের শিলং এবং ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর। তবে কলকাতাতেই ম্যাচের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যুবভারতীতেই হবে ফাইনালও।