গুগল থেকে ডাউনলোড করে ওয়ালপেপার! ক্যাচ ফস্কানোর প্রায়শ্চিত্ত নায়ক সিরাজ’এর
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:
একেবারে প্রায় নতুন দল শুভমনের হাতে। ভারত অধিনায়ক তরোয়ালটা তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজের হাতেই। যুদ্ধে সিরাজ অকুতোভয়। গোটা সিরিজে হাজারের বেশি বল করেও যিনি অক্লান্ত। সিরাজের এক স্পেলেই ভেঙে গেল ব্রিটিশ সামাজ্য। দুই হাত প্রসারিত করে উইকেটের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ‘সিউ’ সেলিব্রেশন করে হাসলেন সিরাজ। ওভালে ভারতের এই সাফল্যের নায়ক পেসার মহম্মদ সিরাজ। যিনি আগের দিনই ক্যাচ ফস্কে হয়ে যেতে পারতেন ভিলেন, তিনিই হলেন নায়ক।
যেন প্রায়শ্চিত্য করলেন ক্যাচ ফস্কানোর। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টিসহ দুই ইনিংস মিলিয়ে সিরাজের শিকার ৯ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও উঠেছে তারই হাতে। পুরস্কার হাতে নিয়ে জানালেন অবাক করা এক তথ্য। তার সাফল্যের নেপথ্যে নাকি মোবাইল ওয়ালপেপার! তাঁর ফোনের ওয়ালপেপারে লেখা আছে ‘বিলিভ’—সে এটাই মাঠে ফলানোর চেষ্টা করেছে। পুরস্কার মঞ্চে বললেন, ‘আজ ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হয়েছে এটা সম্ভব। গুগল থেকে একটি ছবি (ফোনে) ডাউনলোড করেছি, যেখানে লেখা ‘বিলিভ’…লর্ডসে মন ভেঙে গিয়েছিল। জাড্ডু (রবীন্দ্র জাদেজা) ভাই বলেছিলেন, নিজের শক্তির ওপর আস্থা রেখে বাবাকে স্মরণে রাখতে এবং তার জন্য এটা করতে।’ তবে ভুলতে পারেননি ক্যাচ মিসটা। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, ক্যাচটা ছক্কা হবে এটা ভাবিনি। তবে ওটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত ছিল। হ্যারি ব্রুক তারপরই টি২০ মানসিকতায় ব্যাট করেছে। আমরা তখন একটু পিছিয়ে পড়েছিলাম।’
পরিসংখ্যান বলছে, গোটা সিরিজে প্রায় ১১১৩ বল করেছেন। ওয়ার্কলোড কখনও মাথা তুলতে দেননি। স্পিরিট বজায় রেখেছেন সিরিজের প্রথম বল থেকে শেষ বল পর্যন্ত। বিশ্রাম অভিধানে নেই। পরপর টেস্ট খেললেও তাঁর পিঠে টান ধরে না, চোট লাগে না। ভারতের ডিএসপি পদমর্যাদায় অফিসারই ভারতের জয়ের নায়ক হতে ভালভাসেন। এই সিরিজে ৫ টেস্টেই খেলে সবচেয়ে বেশি বল করে (১১১৩টি বৈধ ডেলিভারি বা ১৮৫.৩ ওভার) সর্বোচ্চ ২৩ উইকেটও তাঁর। নিজের ওপর সবসময় রাখেন অগাধ আস্থা। তাই তো অবলীলায় বলেন, ‘হ্যাঁ, সব সময় নিজের ওপর বিশ্বাসটা ছিল। যেকোনো অবস্থা থেকে ম্যাচ জেতাতে পারি।’