‘আমার কাজ আমি করেছি’, বাংলাকে দ্বিতীয় ম্যাচও জিতিয়ে বল হাতেই ‘জবাব’ শামির
২২ গজের সবুজ গালিচায় নতুন করে যেন ফুল ফোটাচ্ছেন মহম্মদ শামি। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়ার পর, দ্বিতীয় ম্যাচে তুলে নিলেন ৮ উইকেট। রঞ্জিতে শামি মুন্সিয়ানাতেই উত্তরাখণ্ডের পর গুজরাতকেও ঘরের মাঠে হারিয়ে দিল বাংলা দল।জয় এল ১৪১ রানে। এল ৬ পয়েন্টও।টানা দুই ম্যাচ জিতে ১২ পয়েন্ট বাংলার।
বাংলা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ২৭৯। জবাবে গুজরাট থেকে গিয়েছিল ১৬৭ রানে। ৬ উইকেট নিয়েছিলেন শাহবাজ। ম্যাচে তিনি পেলেন ৯ উইকেট। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা ২১৪/৮ তুলে ডিক্লেয়ার করে। গুজরাটের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২৭। কিন্তু সামির আগুনে বোলিংয়ে গুজরাট থেমে গেল ১৮৫ রানে। শামি নিলেন ৫ উইকেট। ম্যাচে ৮ উইকৈট নেওয়ার চেয়েও স্বস্তি তাঁর ছন্দে ফেরা। জাতীয় নির্বাচক আরপি সিং ইডেনে গত চারদিন ধরে উপস্থিত। তাঁকেই যেন বুঝিয়ে্ দিলেন, ঘরোয়া খেলাই নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ডানা মেলতেও তিনি প্রস্তুত।অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে বা টি২০ দলে সুযোগ পাননি। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন শামি।

তিনি যে যোগ্য হয়েও বঞ্চনার শিকার, মাঠেই যেন তাঁর জবাব দিলেন এই পেসার। শেষদিন গুজরাত ব্যাটিংকে একাই ধসিয়ে দিলেন শামি। তিনি ৩৮ রানে দিয়ে ৫ উইকেট তোলেন। ম্যাচে ৮ উইকেট। ম্যাচ শেষে শামি বললেন, ‘আমার হাতে যা ছিল করেছি। আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। এবার দেখা যাক কী হয়। ভাগ্য আমাকে কতদূর নিয়ে যায়। নিজের রাজ্যের হয়ে খেলা আমার কাছে সবসময় গর্বের। আলাদা একটা উদ্যম জোগায়’। শামিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ লক্ষ্মীরতম শুক্লাও। শামির বোলিং নিয়ে বলেন, ‘যার কেরিয়ারে ৫০০-রও বেশি উইকেট আছে তাঁকে আর কী প্রমাণ করতে হবে। এতদিন ধরে তো প্রমাণ করে এসেছে। তবে সামি দেখাল ও কেন বাকিদের থেকে আলাদা’।তবে ম্যাচে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেন শাহবাজ আহমেদও । ম্যাচের সেরাও তিনি । বল হাতে দুই ইনিংসে সফল শাহবাজ । প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শিকার ৩।
