গ্যালারিতে প্রতিবাদের ঝড়! শিল্ডে ‘ফাইভ-স্টার’ পারফরম্যান্সে অভিযান শুরু বাগানের
স্পোর্টস ডেস্ক: শতাব্দীপ্রাচীন-ঐতিহ্যের শিল্ডে যেন প্রাণ ফিরল। ইস্টবেঙ্গল ৪ গোল দিয়ে জয়যাত্রা শুরু করেছিল। পরেরদিন, বৃহস্পতিবার আরও বেশি গোল করে অভিযান শুরু করল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। প্রথম ম্যাচেই কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে মেরিনার্স ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিল গোকুলাম কেরালাকে। তাতে আলবার্তো- ম্যাকলারেনের জোড়া গোল।অন্য গোলটা রবসনের। যে গোলটা হজম করেছে, সেটা আপুইয়ার আত্মঘাতি।
তবে এই জয়ের আগে সমর্থকদের রাগ কমেনি ম্যানেজমেন্টের প্রতি তা স্পষ্ট। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে ইরানে না যাওয়ার প্রতিবাদে শিল্ডের প্রথম ম্যাচ বয়কট করে মোহনবাগান সমর্থকরা। তবু যারা হাজির হয়েছিলেন, হাতে নিয়ে এসেছিলেন ম্যানেজমেন্টের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া পোস্টার-ব্যানার। যাতে লেখা রয়েছে, ‘গো ব্যাক ম্যানেজমেন্ট’ ও ‘কাওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট’ স্লোগান। মাঠে উপস্থিত ছিলেন বাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস ও সভাপতি দেবাশিস দত্ত। তাঁরাও দেখলেন, সমর্থকদের ক্ষোভ।
মাঠে অবশ্য তার প্রভাব পড়েনি। দুরন্ত ছন্দেই দেখা যায় সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে। ১১ মিনিটের মাথাতেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ডানদিক থেকে রবসন রবিনহোর কর্নার থেকে আলাবার্তো রড্রিগেজের হেডে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ২৬ মিনিটে সম্ভবত এ মরসুমের সেরা গোলটা করে ফেললেন জেমি ম্যাকলারেন। দূর থেকে আসা বল মাটিতে পড়তে না দিয়েই দুরন্ত ভলি করেন অজি স্ট্রাইকার। ডান পায়ে তাঁর ভলি সোজা গোলে ঢুকে যায়। ২-০তেই বিরতিতে যায় মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আপুইয়ার সেম সাইড গোলে ব্যবধান কমায় গোকুলাম কেরালা এফসি। কিছু করার ছিল না বিশাল কাইতের। কিন্তু তাতেও লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি গোকুলাম। ৫১ মিনিটে ফের গোল করেন আলবার্তো। রবসনের সেন্টার থেকে ফের হেডে গোল করেন আলবার্তো। ৫৪ মিনিটে আবার ব্যবধান বাড়ান রবসন । ম্যাকলনের পাস থেকে তাঁর ডান পায়ের শট প্রথম বারে লেগে ফিরে আসার সময়, শিবিনের পিঠে লেগে বল জালে জড়ায়। ৭৫ মিনিটে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেন জেমি ম্যাকলারেন। নতুন নামা অভিষেক মিতেই বাঁ পায়ের ক্রস পেয়ে ম্যাকলারেন বল জালে জড়িয়ে দেন। জোড়া গোল করে ম্যাচের সেরা পুরস্কার পান ম্যাকলারেন।