‘ইয়ে পানি পিলাতা হ্যায়’… ম্যাচে বিরাট কটাক্ষের শিকার মুশির, ক্ষুব্ধ নেটিজেররা

হতে পারেন তিনি বিরাট। হতে পারে তাঁর দল আইপিএল ফাইনালে। কিন্তু নেটিজেনদের চোখে খারাপটা খারাপই। সে কোহলিই হোক বা অন্য কেউই হোক, সমালোচনায় বিদ্ধ করতে ছাড়েন না কেউই এই নেটদুনিয়ায়। তেমনই আইপিএল প্রথম কোয়ালিফায়ারের পর যেমন পারফরম্যান্সের জন্য বিরাট বন্দনা চলছে, তেমনই আচরণের জন্য বিরাট কুৎসাও চলছে।
বিরাট কোহলি মানেই তরুণ প্রজন্মের কাছে এক আদর্শ। তবে তাঁর আগ্রাসন, তাঁর স্লেজিং কখনও কখনও মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। প্রথম কোয়ালিফায়ারে প্রতিপক্ষের তরুণ ক্রিকেটারকে যেভাবে কটাক্ষ করেছেন, তাতে ছেড়ে কথা বলছেন না নেটিজেনরা। পাঞ্জাবের ইনিংসের নবম ওভারে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মুশির ব্যাট করতে এসেছিলেন। সেই সময় স্লিপে দাঁড়িয়েছিলেন বিরাট। তিনি মুশিরের দিকে অঙ্গভঙ্গি করে তাঁর দলের সতীর্থদের বলার চেষ্টা করছিলেন যে এই ছেলেটা ওয়াটার বয়। তাঁকে বলতে শোনা যায়.. ‘ইয়ে পানি পিলাতা হ্যায়’! বিরাটের এই শব্দ ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। প্রথমবার আইপিএল খেলতে নামা তরুণকে কেন ‘জল বয়ে আনার ছেলে’ বলে কটাক্ষ করেছেন কোহলি তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। অথচ এই চলতি মরশুমেই এই মুশিরকে নিজের ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন কোহলি। তখন প্রশংসা পেয়েছিল বিরাটের ভূমিকার। প্রসঙ্গত, জাতীয় দলে কোহলির প্রাক্তন সতীর্থ সরফরাজ খানের ভাই এই মুশির। তরুণ ক্রিকেটার মুশিরকে কেন এভাবে খোঁচা দিলেন বিরাট, তা নিয়েই নানা মত ছড়িয়েছে। একাধিক নেটিজেন কোহলির থেকে এমন আচরণ আশা করেননি। তাই তাঁরা আশাহত হয়েছেন। এই ম্যাচে বিরাটের স্লেজিংয়ের শিকার হওয়া মুশির অবশ্য কোনও রানই করতে পারেননি। ম্যাচে ৩ বল খেলে মুশির শূন্য হাতে ফেরেন। বিরাট কোহলিও অবশ্য এই ম্যাচে আহামরি কিছু করতে পারেননি। ১২ বলে তিনি ১২ রান করেন। তবু ফিল সল্টের সৌজন্যে তাঁর দল সহজ জয় পেয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছর পর ফের ফাইনালে পৌঁছেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথমবারের জন্য ট্রফি ছুঁতে পারেন কিনা বিরাট, সেদিকেই তাকিয়ে এখন তাঁর ভক্তরা।