‘আমার ভাই ভাল আছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পূর্ণমের স্ত্রীকে, রিষড়ায় খুশির জোয়ার

২২ দিন পর উৎকণ্ঠার শেষ। দেশে ফিরলেন পাক রেঞ্জার্সের হাতে আটক বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ। গোটা দেশ খুশি। খুশির জোয়ার পূর্ণমের হুগলির রিষড়ার বাড়িতেও। চলছে মিষ্টিমুখ। ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোন করেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভাই ভাল আছে।’ পুর্ণমের স্ত্রী রজনী উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ উনি চলে এসেছেন।’ মমতা বলেন, ‘আমি যখনই শুনেছি রিলিজড হয়ে গিয়েছেন, তখনই ফোন করেছি। আমার অনেক শুভ কামনা থাকল ভাইয়ের জন্য।’
সীমান্ত পেরোনোর অপরাধে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক রাজ্যের বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সব নিয়ম মেনে শান্তিপূর্ণভাবে পাঞ্জাবের আটারি ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে তাকে ভারতে পাঠানো হয় বলে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে নিয়মিত ফ্ল্যাগ মিটিং এর জন্যেই এই কাজ করা সম্ভব হয়েছে বলে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের পাঠানকোটের ফিরোজপুর সীমান্তে কর্তব্যরত অবস্থায় পাকিস্তান সীমান্তে প্রবেশ করায় পাক রেঞ্জার্স হুগলির রিষড়ার এই বাসিন্দাকে আটক করে। জানা যাচ্ছে, সুস্থ রয়েছেন পূর্ণম। এবার তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ হবে। সব ঠিক থাকলেই যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে পাঠানো হবে পূর্ণমকে।

গত ৩০ মার্চ পর্যন্ত ছুটিতে এসে বাড়িতেই ছিলেন পূর্ণম। ছুটি কাটিয়ে ৩১ মার্চ ফিরে যান পাঞ্জাবে। বুধবার রাত আটটা নাগাদ তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানান পূর্ণমের এক বন্ধু। তারপরে একাধিকবার ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে। লাভ হয়নি। কোনও খবর ছিল না পরিবারের কাছে। স্বামীর খোঁজে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী গিয়েছিলেন বিএসএফের হেড কোয়ার্টারেও। আশ্বাস নিয়ে ঘরে ফিরলেও আতঙ্ক ছিলই। ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের পর কার্যত স্বামী ফেরার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন রজনী। পূর্ণমের স্ত্রী রজনী জানিয়েছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে শরীর ভাল ছিল না। আজ স্বস্তি বোধ করছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ফোন করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। উনি কথা দিয়েছিলেন, দ্রুত পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনা হবে। পূর্ণম বাড়িতে ফিরলেই উনি দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।’