ছেলের জীবনে আসা কোনও নারী ওর শিক্ষার জন্য আমায় ধন্যবাদ জানালে সেদিনই আমার মাতৃদিবস: পিঙ্কি

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ক্যালেন্ডার বলছে রবিবার মাতৃদিবস। তারকা থেকে অনুরাগী, যেখানে সকলেই ব্যস্ত এই বিশেষ দিনের উদযাপন নিয়ে। সেখানে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুকের দেওয়ালে কেবল দুটি পোস্ট। দু’জন মায়ের ছবি। করুণা সিং এবং হালিমা কুরেশি। তাঁরা কারা, সেই ভূমিকার কোনও প্রয়োজনই হয় না। দেশের দুই বীরঙ্গনা উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশির মা। মাতৃদিবসে এই দুই রত্নগর্ভাই যেন অনুপ্রেরণা পিঙ্কির কাছে।

অভিনেত্রীর মতে, প্রতিটা দিনই ‘মাতৃদিবস’ হওয়া উচিত। নিজের ব্যক্তিগত জীবন, কাজ সবটা সামলে একা হাতে ছেলে ওশকে বড় করে তুলছেন তিনি। ‘মা’ হওয়ার এই অনুভূতিটা কী তাঁর কাছে? আডিশনের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় তিনি বলেন, “মা হওয়ার অনুভূতি কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না।” তবে এই বিশেষ দিনের উদযাপনটা তোলা থাকল পিঙ্কির। তিনি বলেন, “আমি নারী দিবস উদযাপন করি। কিন্তু মাতৃদিবসটা তুলে রেখেছি। আমি তো একজন ছেলের মা। ভবিষ্যতে ওশের জীবনেও কোনও নারী আসবে। সে যখন আমার ছেলের সহজাত শিক্ষার জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানাবে, সেই দিন শুধু উদযাপন আর উদযাপন!”

কখনও কখনও কি কঠিন লাগে সবটা সামলাতে? অভিনেত্রীর সহজ জবাব, “একেবারেই নয়। আমি যখন ৬০ কেজির ওয়েট লিফটিং করি, তখনও আমি একাই করি। মায়ের ভূমিকাটাও ঠিক তাই। এটা শুধুমাত্র ‘সিঙ্গল মাদার’-এর ক্ষেত্রে নয়, সব মায়েদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রকৃতির নিয়ম এটাই। পশুপাখিদের ক্ষেত্রেও দেখি, শিশুরা মায়ের কাছেই বড় হয়।”

এই দিন ছেলে ওশের থেকে কী পেলেন পিঙ্কি? একগাল হেসে অভিনেত্রী বলেন, “আমি তো রোজই কিছু না কিছু পাই ছেলের থেকে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় থেকে শুরু করে, একসঙ্গে বিছানা গোছানো, সবক্ষেত্রেই ছেলেকে পাশে পাই। আমরা একসঙ্গে ব্রেকফাস্টে কী খাব, সেটা ঠিক করি। গাছ একদিনে বড় হয় না। একসঙ্গে থাকাটাকে উদযাপন করাটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।”

তাঁর কথায়, “কালের নিয়মে সবাই বড় হয়ে যায়। কিন্তু একজন সন্তানকে মানুষ করে তোলাটা খুব জরুরি। আমি কাজ থেকে ফিরলে আমাকে এক গ্লাস লেবুর জল করে দেয় ওশ। এটাই তো শিক্ষণীয়। সবাইকে সম্মান করার শিক্ষাটা যেন সন্তান পায়। নিজের মা-বাবাকে সম্মান করতে না জানলে সে কাউকে সম্মান করতে পারবে না। আমরাও কিন্তু প্রতিনিয়ত ছোটদের কাছ থেকেও কিছু না কিছু শিখতে পাই। মাতৃত্ব আমার কাছে আশীর্বাদের সমান। আমার বাবা ভারতীয় সেনায় ছিলেন। তিনি যেভাবে আমাকে মানুষ করেছেন, আশা করি, সেই শিক্ষাটা আমি আমার ছেলেকেও দিতে পারছি।”

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *