মৃত্যুর সঙ্গে টানা ১২দিন পাঞ্জা, জীবনযুদ্ধে আর জেতা হল না পাঞ্জাবি গায়কের

মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছিলেন টানা ১২ দিন। শেষপর্যন্ত লড়াইটা জিততে পারলেন না পাঞ্জাবি গায়ক রাজবীর জওয়ান্দা। মোহালির ফোর্টিস হাসপাতালে প্রয়াত হলেন ৩৫ বছর বয়সী এই গায়ক। গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিমাচলপ্রদেশে বাদ্দির কাছে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন এ শিল্পী। মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় একটি গবাদি পশুর সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁর মাথা ও শিরদাঁড়ায় গুরুতর চোট লাগে। সেই সময় থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রাজবীর।তার পরে বেশ কিছুদিন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন গায়ক। দুর্ঘটনার পরে লাইফ সাপোর্টেও রাখা হয়েছিল তাঁকে। গায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে সঙ্গীত দুনিয়ায়।
পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্ম রাজবীর জওয়ান্দার হিট গানের তালিকা সুদীর্ঘ। ২০১৪ সালে ‘মুন্ডা লাইক মি’ একক গান দিয়ে সংগীতজীবন শুরু করেন রাজবীর জওয়ান্দা। প্রাণবন্ত কণ্ঠে গানের জন্য দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। ‘কালি জওয়ান্দে দি’-সহ বেশ কয়েকটি পাঞ্জাবি ছবির গানের জন্যও তিনি পরিচিত। এক দশকের কেরিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন ‘তু দিস পেন্দা’, ‘খুশ রেহা কর’, ‘সর্দারী’, ‘সার্নাম’, ‘আফরিন’, ‘ভূমি মালিক’, ‘ডাউন টু আর্থ’ ও ‘কাঙ্গানি’-এর মতো অসংখ্য হিট গান। গান ছাড়াও অভিনয় করেছেন কয়েকটি জনপ্রিয় পাঞ্জাবি সিনেমায়। ২০১৮ সালে ‘সুবেদার জোগিন্দর সিং’, ২০১৯ সালে ‘জিন্দ জান’ ও ‘মিন্দো তাসিলদারনি’ ছবিতে তাকে দেখা গেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়।
মোহালির ফেজ-৬ সিভিল হাসপাতালে রাজবীরের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এরপর তাঁর মরদেহ লুধিয়ানার জাগরাওঁ-তে অবস্থিত পৈতৃক গ্রাম পৌনাতে নিয়ে যাওয়া হবে। গায়ক অ্যামি ভির্ক জানিয়েছেন যে, রাজবীর জাওয়ান্দার শেষকৃত্য পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার জাগরাওঁ-এর পৌনা গ্রামে বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর সকাল ১১টায় সম্পন্ন হবে। রাজবীর তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে গেছেন।
বন্ধু রাজবীরের জন্য আরোগ্য কামনা করেছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ। দিলজিৎ বলেছিলেন, ‘রাজবীর অসাধারণ একজন মানুষ। আমার বিশ্বাস আজ পর্যন্ত কোনও বিতর্কে জড়ায়নি এবং সকলকে খুব ভালোবেসেছে। দয়া করে তার জন্য প্রার্থনা করুন।’ কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না।