‘খুব বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে’, ‘শিফটিং’ নিয়ে দীপিকা-বঙ্গা বিতর্কে সরব রামগোপাল বর্মা
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: সিনেমাপাড়ায় দীপিকা পাড়ুকোন এবং সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার ‘স্পিরিট’ ছবির বিতর্ক, সিনেমার সেটে নির্ধারিত সময়, সে বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন পরিচালক রামগোপাল বর্মা। ‘স্পিরিট’ ছবিকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলেই ব্যাখ্যা দিলেন ‘সত্য’ খ্যাত পরিচালক।
বিষয়টা ঠিক কী? কিছু মাস আগে খবর ছড়ায়, প্রভাসের বিপরীতে ‘স্পিরিট’-এ অভিনয় করার কথা ছিল দীপিকার। কিন্তু ছবিটি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। দাবি উঠেছিল, দীপিকা নাকি দিনে ৮ ঘণ্টার কাজের সময়সীমা, ছবির লাভের একটা অংশ, এবং তেলুগু সংলাপ না বলার অনুরোধ জানিয়েছিলেন—যা নাকি পরিচালক সন্দীপ রেড্ডির মনপসন্দ হয়নি। এরপর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে আসে—অভিনেতাদের নির্দিষ্ট কাজের সময় থাকা উচিত কি না।
রামগোপাল বর্মা বলছেন, “এই ব্যাপারটা একেবারেই বাড়াবাড়ি! কারোর ব্যক্তিগত চুক্তি নিয়ে এত শোরগোল করার কী আছে?” তাঁর মতে, একজন অভিনেতা এবং একজন পরিচালকের মধ্যে কাজের শর্ত নিয়ে বোঝাপড়াটা একান্তই তাঁদের নিজেদের ব্যাপার। “আমি যদি বলি ২৩ ঘণ্টা কাজ করব, আর অভিনেতা যদি বলেন এক ঘণ্টা, তাতে তো কারোর কিছু বলার নেই। যার যা ইচ্ছে, সে তাই চাইতে পারে, আর অন্যজনের তাতে রাজি না হওয়ার অধিকারও আছে,” স্পষ্ট ভাষায় জানালেন রামগোপাল বর্মা।
তিনি আরও যোগ করেন, “এক জন মানুষ আরেক জন মানুষকে জোর করে কিছু করাতে পারে না। তারা একসঙ্গে কাজ করবে কি করবে না, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। অথচ মিডিয়াতে এই সামান্য বিষয়টাকে টেনে এত বড় করা হলো, যা আমার কাছে খুব বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে।”
তাঁর মতে, সিনেমার সেটে ঘড়ি ধরে কাজ করাটা বাস্তবসম্মত নয়। “এটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। পরিচালক হয়তো নির্দিষ্ট একটা আলোর জন্য অপেক্ষা করছেন, অথবা অন্য কোনো অভিনেতার সময় মিলছে না, নয়তো লোকেশন নিয়ে সমস্যা। এত ফ্যাক্টর কাজ করে, সেখানে কীভাবে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে কাজ করা যায়?”
সম্প্রতি তাঁর নিজের ছবি ‘সাড়ে’ লায়নসগেট প্লে-তে মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব এবং অচেনা মানুষের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে তৈরি।