রানির মুকুটে নতুন পালক, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তিতে বললেন, ‘সমস্ত মায়েদের উৎসর্গ করলাম’
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: তিনি নাকি কখনো অভিনেত্রীই হতে চাননি। কিন্তু অভিনয় যাঁর রক্তে, তাঁর যে ঘুরেফিরে অভিনয়ের কাছেই আত্মসমর্পণ করার কথা ছিল। হয়েছেও তা-ই। দশকের পর দশক ধরে তিনি হয়েছেন বলিউডের রানি। তিনি রানি মুখার্জি। টলিউডের অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় তাঁর মাসি, বলিউড তারকা কাজল তাঁর দূর সম্পর্কের বোন। ১৯৯৬ সালে বাংলা ‘বিয়ের ফুল’ সিনেমায় বড় পর্দায় খাতা খোলেন রানি। এরপর বলিউড। একের পর এক মুগ্ধ করা অভিনয়। অভিনয় জীবনের ৩০ টা বছর পার করে এই প্রথম জাতীয় সম্মান পেলেন রানি । নায়িকা নয়, ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির মায়ের চরিত্রে পেলেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত রানি। সংবাদসংস্থাকে রানি বলেন, ‘এই সিনেমার জন্য জাতীয় পুরস্কারের মতো সম্মান পেয়ে আমি অভিভূত৷ আমার ৩০ বছরের কেরিয়ারে এটা প্রথম জাতীয় পুরস্কার৷ একজন অভিনেতা হিসাবে আমি অনেক ভাল ভাল ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি’৷ রানির মুকুটে নতুন পালক। কাকে উৎসর্গ করবেন তিনি? রানিই জানিয়েছেন, ‘আমি আমার জাতীয় পুরস্কারকে এই বিশ্বের সমস্ত মায়েদের উদ্দেশে উৎসর্গ করতে চাই। এই বিশ্বে মায়ের ভালবাসার থেকে বড় আর মায়ের সন্তানদের আগলে রাখার মতো ভালবাসা আর কিছুতেই নেই। এই গল্প এমন একজন মায়ের, যাকে দেশের বাইরে তাঁর সন্তানদের নিয়ে থাকতে হয়। এই ছবির চিত্রনাট্যটা আমায় নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। সন্তানের ওপর তার মায়ের ভালবাসার কোনও শর্ত হয় না। আমার নিজের সন্তান হওয়ার পরে আমি বুঝেছি একজন মায়ের ভালবাসা কী।’ সবশেষে, রানি তাঁর অনুরাগীদের প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং সমর্থনই আমার সবকিছু। আপনারা না থাকলে আমি আজ কেউ হতাম না।’ বাদশার সঙ্গেই কেরিয়ারের প্রথম হিট সিনেমা ছিল রানির ৷ সিনেমার নাম ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’৷ সেই বাদশার সঙ্গে রানিও একই বছরে জিতে নিলেন প্রথমবারের জন্য জাতীয় পুরস্কার।