‘‘জেন্টলম্যান’ ক্রিকেট যা করেনি, তাই করেছে মেয়েরা! কুর্নিশ জানিয়ে ছেলেদের কটাক্ষ অশ্বিনের

দিদি, ইয়ে আপ কে লিয়ে থা’
ক্রিকেট হয়তো এই কারণেই এত সুন্দর। এই কথা বলতে পারাটা যেন বিশ্বমঞ্চে মন ভরিয়ে দেয়। খুশি যে সবসময় ভাগ করে নিতে হয়। যে খুশি ভাগ করে নিয়েছেন হরমনপ্রীত-স্মৃতিরা, এ আগে ‘জেন্টলম্যান’ ক্রিকেটে আগে দেখা যায়নি।
বিশ্বজয়ের সোনালি ট্রফি মুঠোয় হরমনপ্রীতদের। স্বপ্ন সফল। যে স্বপ্ন দেখানোটা শুরু করেছিলেন মিতালি-ঝুলনরা। মাঠে তাদের ডেকে নিয়েছিলেন সেলিব্রেশনে। নির্দ্বিধায় মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামী, অঞ্জুম চোপড়াদের হাতে একে একে তুলে দিয়েছিলেন। ভাগ করে নিয়েছিলেন আনন্দ। এ জয় যে তাদেরও!
ছেলেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে অনেকবারই বিশ্বজয়ের ট্রফি এসেছে ভারতে। কিন্তু প্রাক্তন-বর্তমান টিম ইউনিটি কখনও এমন যায়নি। এখানেই ভারতের পুরুষ দলের ক্রিকেটারদের ভূমিকা নিয়ে অশ্বিনের অভিযোগ। তাঁর স্পষ্ট কথা অগ্রজদের কখনও সম্মান দেননি ভারতীয় পুরুষ দলের ক্রিকেটারেরা। অশ্বিন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অকপটে সে কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে ভারতকে ২০১৭ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিল হরমনপ্রীত। যদিও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজেরা সেই দলে ছিল। যদিও ওরা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। কিন্তু মুম্বইয়ে ভারতীয় দল কী করল? বিশ্বকাপ জিতে ঝুলন, মিতালিদের হাতে ট্রফি তুলে দিল। পূর্বসূরিদের সম্মান জানাল। কুর্নিশ জানাচ্ছি ওদের। ভারতীয় পুরুষদের দল কখনওই এ রকম কিছু করেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিডিয়ার সামনে অনেকেই অনেক কিছু বলেন। প্রচারের আলোয় আসার জন্য উনি এটা করেছেন, তিনি ওটা করেছিলেন- এমন অনেক কিছু শোনা যায়। কিন্তু পুরোনো প্রজন্মকে কৃতিত্ব দিতে দেখা যায় না সাধারণত। তাই মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামী, অঞ্জুম চোপড়াদের ট্রফি তুলে দেওয়ায় নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। ওঁরা দুই-তিন দশক আগে যে বীজ বপন করেছিলেন, সেটার ফলই আজ পাচ্ছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট। তাই হরমনপ্রীতদের এই উদ্যোগ মন জিতে নিয়েছে আমার।’
