ঈশান ঝড়ে জয় হায়দরাবাদের, কোহলি-সল্ট ফিরতেই ডুবল বেঙ্গালুরু

ঈশান ঝড়। তাতেই বেসামাল বেঙ্গালুরু। তবে বিরাট কোহলি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন,ততক্ষণই জয়ের শ্বাস ছিল আরসিবির। প্রবল বৃষ্টির কারণেই চিন্নাস্বামী থেকে এই ম্যাচ সরে এসেছিল লখনউয়ে। সেখানেই বিরাট কোহলিকে সম্মান জানাতে হাজির হয়েছিলেন দর্শকরা। প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ তোলে ৬ উইকেটে ২৩১ রান। তাড়া করতে নেমে বেঙ্গালুরু অলআউট হয়েছে ১৮৯ রানে। ৪২ রানে হেরেছে বিরাটের দল। এদিন অবশ্য ক্যাপ্টেন্সি করেননি রজত পাতিদার। তাঁর চোট। খেলেছেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে। টস করতে আসেন জিতেশ শর্মা। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। অভিষেক ১৭ বলে ৩৪ করে ফেরেন। কোভিড কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ফেরা ট্রাভিস হেড অবশ্য এদিন রান পেলেন না। ফেরেন ১৭ রানে। এরপরই ঈশান কিষানের ব্যাটে ঝড় ওঠে। তিন নম্বরে নামা এই বাঁহাতি ৪৮ বলের ইনিংসে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন।জবাবে দুর্দান্তই শুরু করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ২৪ বলে ৭ চার ১ ছয়ে ৪৩ রান করেন বিরাট কোহলি। ফিল সল্ট ৩২ বলে ৬২ করেন। এরমধ্যে ৪ চার ও ৫ ছক্কা। এই জুটি ফিরতেই খেই হারিয়ে ফেলে যেন গোটা দল। ১৫ ওভার শেষে হায়দরাবাদের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৬৮, একই সময়ে বেঙ্গালুরু তোলে ৩ উইকেটে ১৬৭। কিন্তু এরপর আর ফিনিশিং হয়নি আরসিবির। শেষ পাঁচ ওভারে হায়দরাবাদ যেখানে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান তুলেছে, বেঙ্গালুরু সেখানে ২২ রানেই হারিয়েছে ৭ উইকেট। হায়দরাবাদের কাছে হেরে পয়েন্ট তালিকার দুই থেকে তিনে নেমে গেছে বেঙ্গালুরু। ১৩ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট। অন্যদিকে আগেই বিদায় হয়ে যাওয়া হায়দরাবাদ ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে।