এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে স্বপ্ন জয়, এরপরই দুঃস্বপ্নের শুরু সুব্রত ঘোষের, এভারেস্টের কোলেই মৃত্যু

0

এভারেস্ট জয়। আনন্দ, খুশি স্থায়ী হল না। স্থায়ী হয়ে গেল দুঃখ, বেদনা। এভারেস্ট জয় করে এভারেস্টের কোলেই চিরঘুমে বিলীন হলেন বাঙালি পর্বতারোহী সুব্রত ঘোষ। ৪৫ বছরের সুব্রত ঘোষ রানাঘাট তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, বাগদা ব্লকের অন্তর্গত কাপাসাটি মিলনবিথী হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন। পাহাড়ের নেশাতেই স্বপ্নজয় করে ফেলেছিলেন এভারেস্টের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করে, কিন্তু ফেরাটা হল না। আবহাওয়া ফেরার সময়ে ছিল প্রতিকূল। দেরীও করে ফেলেছিলেন সুব্রত। সূত্রের খবর, অতিরিক্ত সময় লাগায় শেষ হয়ে গিয়েছিল অক্সিজেন। তাঁর সঙ্গে থাকা শেরপা জানিয়েছেন, হিলারি স্টেপের কাছে এসেই একেবারে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

হিলারি স্টেপ ও সাউথ সামিটের মাঝের অংশেই নিস্তেজ হয়ে পড়েন সুব্রত। এরপর আর গাইডের পক্ষে একা সম্ভব হয়নি নামিয়ে আনা। ওখানেই মৃত্যু হয় এভারেস্ট জয়ীর। প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ থাকার পরে হিলারি স্টেপের কাছে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তার সঙ্গেই যাত্রী ছিলেন আর এক শিক্ষিকা  রুম্পা দাস। তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ঠিকই, তবে  অনেক দেরি করে হলেও রুম্পা সাউথ কলে পৌঁছতে পেরেছে। রুম্পা দাস ক্যাম্প ৪-এ রয়েছেন। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। ৪৪ বছরের রুম্পা দাস কুপার্স ক্যাম্পেরই একটি স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা।

শিপ্রা মজুমদার, ছন্দা গায়েন, টুসি দাস, পিয়ালি বসাকের পর পঞ্চম বাঙালি কন্য়া হিসেবে এভারেস্ট জয়ের নজির গড়েন রুম্পা ৷ তাদের সঙ্গে ছিলেন আরও একজন, তিনি অসীম কুমার মণ্ডল। ৫২ বছরের অসীম কুমার মণ্ডল শৃঙ্গের চূড়ায় যেতে পারেননি,  আবহাওয়া অবনতির কারণে চার নম্বর বেস ক্যাম্প থেকে আগেই নীচে নেমে এসেছিলেন।
অন্যদিকে এভারেস্ট জয় করলেন আরও এক বাঙালি। বৃহস্পতিবার এই সাফল্য পেয়েছেন বর্ধমানের সৌমেন সরকার। পেশায় পূর্ত দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হলেও পাহাড় জয়ই তাঁর নেশা। সে কারণেই ৫৪ বছর বয়সে মাউন্ট এভারেস্ট এবং মাউন্ট লোৎস-এ পর্বতশৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে অভিযান শুরু করেন তিনি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *