জন্মশতবর্ষে ঋত্বিককে শ্রদ্ধার্ঘ্য, মেলবোর্নে থাকছে পরিচালকের রেট্রোস্পেকটিভ

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: আগামী ২০২৫ সালের ১৪ থেকে ২৪শে অগাস্ট, ‘মেলবোর্ন ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ (IFFM) এক বিশেষ আয়োজনে স্মরণ করবে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটককে। তাঁর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাজানো হয়েছে এক অন্যরকম রেট্রোস্পেকটিভ। দেখানো হবে, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘সুবর্ণরেখা’, এবং ‘কোমল গান্ধার’ এর মত তাঁর সব কালজয়ী অবদান। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রের দরবারে ঋত্বিক ঘটকের অনবদ্য অবদানকে নতুন করে তুলে ধরা হবে।

ঋত্বিক ঘটক, যিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম দূরদর্শী শিল্পী হিসেবে পরিচিত, তাঁর ছবিতে বারবার উঠে এসেছে দেশভাগ ও তার মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবের কথা, সমাজের বাস্তব ছবি , আর নারীবাদের গভীর বিশ্লেষণ। পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা এবং নাট্যকার হিসেবে তাঁর অবদান বিশ্ব চলচ্চিত্রে এক অনবদ্য ছাপ রেখেছে। সত্যজিৎ রায়, তপন সিনহা, মৃণাল সেনের মতো সমসাময়িক প্রবাদপ্রতিম পরিচালকদের পাশাপাশি ঋত্বিক ঘটকের কাজ এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। তাঁর কালজয়ী ছবিগুলি, যেমন ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘সুবর্ণরেখা’, এবং ‘কোমল গান্ধার’ আজও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে মাইলফলক।

১৯৭০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। এছাড়াও, ১৯৭৪ সালে তাঁর ছবি ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’-এর জন্য তিনি পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে রজত কমল। বাংলাদেশের ‘সিনে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন’ থেকে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কারে ভূষিত হন।

IFFM-এর উৎসব পরিচালক মিতু ভৌমিক ল্যাঙ্গে বলেছেন, “ঋত্বিক ঘটক তাঁর সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন। তাঁর চলচ্চিত্রে ট্রমা, যন্ত্রণা, উদ্বাস্তু হওয়া, আর আত্মপরিচয়ের যে গভীরতা ও জরুরি বার্তা ছিল, তা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। IFFM-এ আমরা ঋত্বিক ঘটকের মতো ব্যক্তিত্বদের বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে দায়বদ্ধ, যাঁদের কাজ ভারতীয় চলচ্চিত্রের বিবেক গড়ে তুলেছেন। এই শতবর্ষের আয়োজন শুধু শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় কোন ধরনের গল্প বলা আমাদের জন্য জরুরি।”

শুধু ঋত্বিক ঘটকই নন, এই উৎসবে গুরু দত্তের শতবর্ষও পালিত হবে। তাঁর কালজয়ী ছবি ‘পিয়াসা’ (১৯৫৭) এবং ‘কাগজ কে ফুল’ (১৯৫৯)-এর বিশেষ প্রদর্শনীও থাকবে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *