‘এস আরটি ১০০’, নিজের বোর্ডরুমে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখেই আবেগাপ্লুত শচীন

মহাকাব্যের মতোই তাঁর ২৪ বছরের কেরিয়ার। যা সাজানো অনন্য আর অসাধারণ সব কীর্তি দিয়ে। ভারতের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, রাজীব গান্ধী, অর্জুন পুরস্কারসহ আরও বহু পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে। তাঁর বিশেষণ তিনি নিজেই, তাঁর তুলনাও তিনিই। তিনি আর কেউ নন শচীন রমেশ তেন্ডুলকর। ভারতীয় কিংবদন্তি। ক্রিকেটের কাছে ‘ঈশ্বর’।
কয়েকদিন আগেই সুনীল গাভাসকরকে সম্মান জানিয়েছিল বিসিসিআই।বিসিসিআই হেডকোয়ার্টারে একটি নতুন বোর্ডরুমের উদ্বোধন করা হয়, যার নাম রাখা হয় ১০,০০০ গাভাসকর। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ১০,০০০ রানের ঐতিহাসিক কীর্তির স্মরণে এই উদ্যোগ ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। এবার পালা শচীন তেন্ডুলকরের। তাঁর নামেও হল বোর্ড রুম। ‘এস আরটি ১০০।’ শনিবার মুম্বইয়ে বিসিসিআইয়ের প্রধান দফতরে নিজের নামে একটি বোর্ড রুমের উদ্বোধন করলেন শচীন তেন্ডুলকর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বোর্ডের সভাপতি রজার বিনি, সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা, সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া এবং যুগ্ম সচিব রোহন দেশাই। ভারতীয় ক্রিকেটে বিশাল অবদানের জন্যই তাঁকে এই স্বীকৃতি জানাল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। নিজের ২০০তম টেস্ট ম্যাচই ছিল কেরিয়ারের শেষ টেস্ট। সবমিলিয়ে ১০০টা সেঞ্চুরির মালিক তিনি। টেস্টে ৫১টা, ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৪৯টা। একদিনের ক্রিকেটে ন্যূনতম ১০ হাজার রান, ১০০ উইকেট আর ১০০ ক্যাচ নেওয়া ক্রিকেটার এই শচীন তেন্ডুলকরই।
খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নামের বোর্ড রুম উদ্বোধন করে নস্ট্যালজিক শচীন। তাঁর বিভিন্ন স্মরণীয় মুহূর্ত ছবির ফ্রেমে ধরা রয়েছে। রয়েছে তাঁর একমাত্র জয় করা বিশ্বকাপ ট্রফিও। যা হাতে পেয়ে আরও একবার আবেগাপ্লুত তিনি। শচীন বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নিয়ে বলেন, ‘২০০৭ সালে আমরা যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফিরি, অনেক কথা আমার মাথায় ঘুরছিল। খেলা চালিয়ে যাব না সরে যাব সেই নিয়ে ভাবছিলাম। আমি দাদার সঙ্গে কথা বলি। আমার দাদা বলে, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ভারতে হবে। ফাইনাল হবে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ভাবতে পারছো তুমি ট্রফি নিয়ে ভিকট্রি ল্যাপ নিচ্ছ। সেখান থেকেই নতুন যাত্রা শুরু হয়। সেই চার বছর মাত্র একটাই লক্ষ্য ছিল। বিশ্বকাপ ট্রফি। জীবনের কঠিনতম মুহূর্ত থেকে ২০১১ সালে সেরা মুহূর্ত পেয়েছি। যাত্রাটা অনবদ্য ছিল।’