‘দেশের পতাকা যত উঁচুতে তুলে ধরা যায়, সেই চেষ্টা করব’ বললেন নীরজ, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীও

‘দেশের পতাকা যত উঁচুতে তুলে ধরা যায়, সেই চেষ্টা করব।’ বক্তা আর কেউ নন, স্বয়ং নীরজ চোপড়া।দেশের হয়ে অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন, রুপো জিতেছেন। এরপরও আক্ষেপ ছিল ভারতের এই জ্যাভলিন থ্রোয়ারের। কিছুতেই নব্বইয়ের গণ্ডী টপকাতে পারছিলেন না। দোহা ডায়মন্ড লিগের আসরে শেষমেশ ৯০ মিটারের গণ্ডি টপকে গেলেন নীরজ।
কিছুদিন আগেই বিতর্কের শিরোনামে উঠে আসেন নীরজ চোপড়া। নিজের নামাঙ্কিত প্রতিযোগিতায় ‘বন্ধু’ আরশাদকে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রবল বিতর্কের মধ্যে পড়েছিলেন নীরজ। ভারত-পাক সংঘাতের আবহে তাঁর পরিবারকেও কটু কথা শোনাতে ছাড়েনি নেটদুনিয়া। অবাক হয়ে যান তিনি। অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠিও খেলেন তিনি। বন্ধু আরশাদের সঙ্গে পাহেলগাঁও ঘটনা ও ভারত-পাক সংঘর্ষের পর কেমন সম্পর্ক থাকবে তা গ্যারান্টিও দেননি নীরজ। দোহা ডায়মন্ড লিগে নামার আগেই নীরজ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির পর হয়তো আগে যেমন সম্পর্ক ছিল তেমনটা নাও থাকতে পারে। তবে কেউ আমাকে সম্মান দিলে আমিও তাকে অবশ্যই সম্মান করব।’ এরপর সুবাদার থেকে লেফটেন্যান্ট পদে প্রোমোশনও পান নীরজ। তিনি যদিও পুরোপুরি প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন দোহার এই টুর্নামেন্ট ঘিরেই।
৮৯ মিটারে পৌঁছেছেন একাধিকবার। প্রায় মিয়মিত ৮৮ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছোড়েন। কিন্তু দোহায় ছুড়লেন ৯০.২৩ মিটার। বলাই বাহুল্য এটাই নীরজের সেরা পারফরম্যান্স। সেইসঙ্গে ভারতেরও। যদিও তাতেও সোনা আসেনি, রুপো জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁকে। দীর্ঘদিনের অধরা স্বপ্নপূরণের পরে নীরজ বলেন, ‘৮৯ মিটারে অনেকবার ছুঁড়েছি। অবশেষে ৯০ মিটারও হয়ে গেল। এতদিনে ৯০ মিটারের রাস্তা পেয়ে গেলাম।আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে, এটা আমি বারবার করতে পারব।’ নীরজ এরপরই বলেন, ‘সবকিছুই অর্জন করেছিলাম। শুধু এটাই বাকি ছিল। এটা আমার জন্যও নতুন একটা কীর্তি। সারা দেশের জন্যও। ভারতের কেউ ৯০ মিটারের গণ্ডি টপকাল, এটা দারুণ বিষয়। টার্গেট তো পূরণ হয়েছে। এখন চেষ্টা করব যত উঁচুতে ওঠা যায়। দেশের পকাতা যত সম্ভব উঁচুতে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যতদিন খেলব, দেশের নাম উজ্জ্বল করার চেষ্টা করে যাব।’ তাঁর এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। নীরজকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি মনে করিয়ে দেন পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। তিনি লিখেছেন, ‘এক অসাধারণ কৃতিত্ব। দোহা ডায়মন্ড লিগে ৯০ মিটার পার করে নিজের কেরিয়ারের সেরা থ্রো করল নীরজ চোপড়া। তার জন্য ওকে অভিনন্দন জানাই। ধারাবাহিক একাগ্রতা, শৃঙ্খলা ও আবেগের ফসল এই সাফল্য। ভারত উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত।’