সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড নিয়ে তীব্র বিতর্ক! বন্ধ হতে পারে পুজো?

0

ট্রেন্ডিং: পিলপিল করছে মানুষ। কাতারে কাতারে দর্শনার্থী। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর সঙ্গে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডে অপারেশন সিঁদুর দেখতে মানুষের ঢল সামলাতে হিমশিম অবস্থা। সেখানে পহেলগাঁও হামলা ও তারপর ভারতের জবাবের বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু এই পুজোর প্রথম থেকেই পুলিশ হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ পুজো উদ্যোক্তাদের। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বিজেপি নেতা তথা স্থানীয় কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো বলে পরিচিত। যে পুজোর উদ্বোধন করে গেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পুজো উদ্যোক্তা সজল ঘোষ জানিয়েছেন, পুজোর থিম ঘোষণার পর থেকেই পুলিশ হেনস্থা করছেন।

গত কয়েক মাসে পরপর পুলিশের চিঠি পাচ্ছেন। তাতেই সজল ঘোষের আশঙ্কা পুজো চালাতে পারবেন কিনা! সজল ঘোষ জানান, লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের সংস্থাকে পুলিশ নোটিশ দিয়েছে। সংস্থা লাইসেন্স, পূজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে চুক্তিপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিয়ালদা স্টেশন এলাকা জুড়ে পুলিশ যত্রতত্র ব্যারিকেড করে দিয়েছে। এর ফলে দর্শনার্থীরা পুজোর মন্ডপে আসতে পারছে না এবং এলাকায় কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারছে না। দর্শনার্থীরা যাতে বিরক্ত হয়ে পূজা মন্ডপে প্রবেশ না করে তার জন্য পুলিশ এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি দাবি করেন, দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে মণ্ডপে এসে পৌঁছতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন সজল। তাঁর দাবি, পুলিশ প্রায় ৩ কিমি রাস্তা ঘুরিয়ে দর্শনার্থীদের মণ্ডপে ঢোকার রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করছে। সজল ঘোষ বলেন,এইভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের পক্ষে পুজো চালানো সম্ভব কিনা সে বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। সজল আরও বলেন, ‘এরকম চলতে থাকলে পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া-মারপিট-আন্দোলন করে পুজো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আর এই ঘটনা প্রথম নয়, প্রতিবছরের। আমরা তাদের বারবার বলেছি যে আপনারা একটি চিঠি দিয়ে দিন। আমরা পুজো বন্ধ করে দেব। পুলিশ বলেছে, আমরা এখন চিঠি দেব না। আর এখন চালানো যাবে না। চালাতে দেওয়া হবে না নয়। আমি জানি না এই দু’টি বাক্যের অর্থ কি!’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *