বলিউডের ‘বাদশাহ’ ও ‘রানি’র মুকুটে নতুন পালক, রাহুল-টিনার ছবি দিয়ে আবেগঘন করণ জোহর

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: জাতীয় পুরস্কার! যেকোনো শিল্পীর কাছে এ যেন এক পরম প্রাপ্তি। আর সেই সম্মান যখন আসে ৩০ বছরের অপেক্ষার পর, তখন তার আনন্দ যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এমনটাই ঘটল বলিউডের ‘কুইন’ রানি মুখার্জি আর ‘কিং’ শাহরুখ খানের জীবনে। একই বছরে, একই সময়ে, দীর্ঘ অভিনয় জীবনের প্রথম জাতীয় পুরস্কার জিতে নিলেন দুই বন্ধু। একজন ‘জওয়ান’-এর জন্য সেরা অভিনেতা, অন্যজন ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’-র জন্য সেরা অভিনেত্রী।

এই দুই তারকা বন্ধুর সাফল্য দেখে মুগ্ধ তাঁদের প্রিয় বন্ধু এবং পরিচালক করণ জোহরও। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট লিখেছেন। করণের কথায়, ‘৩৩ বছর ধরে শাহরুখের এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তোমার অভিনয়, যে কোনো চরিত্রকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা… ‘জওয়ান’ তার প্রমাণ। আমি এবং গোটা দেশ তোমার সাফল্যে খুব খুশি। তোমার মত আর কেউ নেই। অনেক অভিনন্দন তোমায়। ছবি তো এখনও বাকি আছে, ঠিক যেমনটা তুমি বলো।’ পাশাপাশি রানির প্রশংসায় করণ লেখেন, ‘রানি, তুমি সত্যি স্ক্রিনের রানি। তোমার অভিনয় সকলের হৃদয়ে এমনভাবে ছুঁয়েছে, যা খুব কম শিল্পীই পারে।’ মজার বিষয় হল, এ কেবল রানি বা শাহরুখের জয় নয়। এ একেবারে করণ জোহরের ‘ফুল সার্কেল’ মুহূর্ত। যাঁর হাত ধরে কুছ কুছ হোতা হ্যায়-এ হিট জুটি হয়েছিলেন শাহরুখ-রানি, তিনিও এ বারে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ‘রকি ঔর রানি কী প্রেম কাহানি’ ছবির জন্য।

জাতীয় পুরস্কার জেতার পর রানি মুখার্জি ছুটে গিয়েছিলেন সিদ্ধি বিনায়কের মন্দিরে। নীল সালোয়ার-কামিজ আর কপালে লাল টিপ পরে তিনি ভগবানের আশীর্বাদ নিলেন। মন্দিরের পক্ষ থেকে ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি শেয়ার করা হয়েছে। রানি এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন পৃথিবীর সমস্ত মায়েদের। তাঁর কথায়, ‘মায়ের ভালবাসা শর্তহীন। আমার এই পুরস্কার সেই সব মায়ের জন্য, যাঁরা তাঁদের সন্তানদের জন্য লড়ে যান।’ ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিটি বাস্তব জীবনের সাগরিকা চক্রবর্তীর লড়াইয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে তিনি নরওয়ের সরকারের বিরুদ্ধে নিজের সন্তানদের ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করেছিলেন।

বাদশার সঙ্গেই কেরিয়ারের প্রথম হিট সিনেমা ছিল রানির ৷ ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ দিয়েই করণের প্রথম পরিচালনা। সেই রাহুলের সঙ্গে টিনা ও করণ একই বছরে জিতে নিলেন প্রথমবারের জন্য জাতীয় পুরস্কার।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed