‘আমি, সিমি ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই, পুরনো বন্ধুদের দেখব পর্দায়’, শর্মিলার স্মৃতিতে উজ্জ্বল ‘দিনরাত্রি’
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: মুক্তি ৫৫ বছর পরও যেন স্মৃতি অমলিন। প্রথম বার কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। আবারও একবার বড় পর্দায় এই ছবি। স্ক্রিনিংয়ের আগে সোমবার ফ্রান্সে পৌঁছে গেলেন ছবির দুই মুখ্য চরিত্রের অভিনেত্রী— শর্মিলা ঠাকুর এবং সিমি গারেওয়াল।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই ছবি আজও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে প্রাসঙ্গিক। এটি কেবল ‘ছবি’ নয়, যেন তারকাদের সমাবেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শর্মিলা ঠাকুর এবং সিমি বাদে কেউই আর জীবিত নেই। তবে সেকালের প্রথম সারির তারকারা আজও অমর হয়ে রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মনের মণিকোঠায়। কানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে শর্মিলা যখন বললেন, “পুরনো বন্ধুদেরকে পর্দায় দেখব আবার।” দর্শকাসন তখন উপচে পড়ছে করতালির শব্দে।
মঞ্চে উঠে অভিনেত্রী বলেন, “এই ছবিটার জন্যেই ভারত থেকে আজ আমার এখানে আসা। ৫৫ বছর কেটে গেল। কী দারুণ ব্যাপার!” বলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি যেন ফিরে গেলেন সেই পাঁচ দশক আগেই। স্মৃতির পাতা ঘেঁটে শর্মিলা বলে চললেন, “ছবিটা আমরা শুটিং করেছিলাম এরমই মে মাসে। কিন্তু এখনের মতো আবহাওয়া ছিল না তখন। অতিরিক্ত গরমের কারণে আমরা খুব সীমিত সময়ের জন্যেই শুটিং করতে পারতাম। বাকি সময়টা কাটাতাম আড্ডা দিয়ে। বাংলার যার অর্থ হল গল্প করা, বন্ধু পাতানো। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের দারুণ বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম। এই ছবিতে মানিকদা নিজেই ক্যামেরা সামলেছিলেন।”
সবশেষে বলেন, “ছবির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই আমার খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। আমি তাঁদের জন্যেই ছবিটা দেখতে চাই। খুবই দুর্ভাগ্য যে একমাত্র আমি আর সিমি-ই জীবিত রয়েছি। বাকি কেউই আর নেই। আমি আমার পুরনো বন্ধুদের পর্দায় আবার দেখতে চাই এবং ওই মুহূর্তগুলোকে আবারও জীবিত করতে চাই।”