শুধু জেন্টলম্যান নয়, ক্রিকেট সবায়ের খেলা! বিশ্বজয়ী অধিনায়ক হরমনের টি-শার্টে বার্তা
মধ্যরাতে বিশ্ব জয়ে মেয়েদের ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস। গর্বিত ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং সেখানেই প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটা শেষ নয় বরং শুরু ।’
প্রথমে মাঠ, এরপর ড্রেসিংরুম, এরপর হোটেল। বাঁধভাঙা সেলিব্রেশন শেষে তখনও একপ্রস্থ ছবি তোলা বাকি। বিছানায় ট্রফির সঙ্গে যে একান্তে ‘আইকনিক’ পোজ বাকি। যেমনটা করেছিলেন বিশ্বজয়ের পর মেসি। হরমনপ্রীত শুধু ছবিই তুললেন না, বিশেষ বার্তাও দিলেন একইসঙ্গে। যা তিনি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল। তাঁর টি-শার্টে যে লেখা, ‘ক্রিকেট ইজ জেন্টলম্যানস (ক্রস করা), এভরিওয়ানস গেম’। সহজ শব্দ, কঠিন তাত্পর্য। ক্রিকেট শুধু এখন আর ভদ্রলোকের খেলা নয়, বরং সকলের খেলা। এটাই বার্তা। ক্রিকেট যে লিঙ্গবৈষম্যের ঊর্ধ্বে, বিশ্বজয়ী হয়ে তা প্রমাণ করে দিলেন হরমনপ্রীতরা। করলেন নতুন যুগের সূচনা। সত্যিই তো, কপিলদেবের বিশ্বজয় হোক বা মহেন্দ্র সিং ধোনির কিংবা রোহিত শর্মাদের, তাদের সঙ্গে কোনও তফাতই যে নেই হরমনপ্রীতদের জয়ের। আসলে তো ভারত জিতেছে, যে আবেগে প্রতিবার সমানভাবে ভেসেছে আসমুদ্রহিমাচল।

মেয়েদের ক্রিকেটে যে যতরকম বঞ্চনা, যার জন্য ছোট থেকে ছেলে সেজে খেলোয়াড় তৈরি হতে হয় একাধিক মেয়েকে।ছেলেদের সঙ্গে খেলাতেও বাধা।স্বয়ং হরমনপ্রীতেরই যে পাঞ্জাবের সরু গলি থেকে উঠে আসার পথটা সহজ ছিল না। ছোটবেলায় ছেলেদের সঙ্গে খেলতে গেলে শুনতে হয়েছে—‘ক্রিকেট মেয়েদের খেলা নয়!’ একটা ট্রফি জয়, ক্রিকেট মানচিত্রে সত্যি অনেক বদল দরকার। নেটিজেনদের ভাবিয়েছে হরমনপ্রীতের বার্তা।
সাংবাদিকদের ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘এই জয় কপিল স্যরের বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে কম নয়। আমি নিশ্চিত, এর পর থেকে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল আরও উন্নতি করবে। আরও তরুণীরা ক্রিকেট খেলতে এগিয়ে আসবেন। কেন মেয়েরা ক্রিকেট খেলেন, তার উত্তর পেলেন সকলে। আশা করি, এ বার থেকে মাঠে দর্শক ভর্তি থাকবে।’
সকালে দু’টি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন জেমাইমা। দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় সেই পোস্ট। সেই ছবিতে জেমাইমার সঙ্গে দেখা যায় স্মৃতি মন্ধানাকেও। তাঁরা হোটেলের ঘরে ট্রফি নিয়ে শুয়ে। ক্যাপশনে লেখা, ‘গোটা বিশ্বকে সুপ্রভাত।’ অন্য ছবিতে জেমাইমা-সহ স্মৃতি মন্ধানা, অরুন্ধতী রেড্ডি, রাধা যাদবদেরও দেখা গিয়েছে। সেই ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘এখন যেন স্বপ্ন দেখছি।’
