ভাইফোঁটার উপহার! প্রতিকা-স্মৃতির জোড়া শতরান, কিউয়ি বধে সেমিতে ভারতের মেয়েরা

সব সম্ভব। মেয়েরাও দেওয়ালে পিঠ ঠেকলে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। মেয়েরাও পারে স্বপ্ন দেখাতে। এ যেন ভাইফোঁটার উপহার বোনেদের!
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে ৫৩ রানে জিতে (ডি/এল মেথডে) সেমিফাইনালে উঠল ভারতে মেয়েরা। অনবদ্য জোড়া শতরানের ইনিংস খেললেন প্রতিকা রাওয়াল ও স্মৃতি মান্ধানা। গড়লেন মেয়েদের ক্রিকেটে একের পর এক বিশ্বরেকর্ড। ৪৯ ওভারে ভারত ৩ উইকেটে ৩৪০ রান তোলার পর, বৃষ্টির কারণে নিউজিল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৪ ওভারে ৩২৫ রান। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড করে ৮ উইকেটে ২৭১ রান।
পরপর তিন ম্যাচে হারের পর এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোটা ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জের। টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড।

ম্যাচে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন ওপেনিং জুটি স্মৃতি-প্রতিকা। তবে দু’জনের মধ্যে স্মৃতি অনেক বেশি আগ্রাসী ছিলেন। প্রতিকা রাওয়াল ১৩৪ বলে ১২২ রান করেছেন। ইনিংসে ১৩ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারি ছিল প্রতিকার। আর স্মৃতি মান্ধানা তাঁর ইনিংসে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৫ বলে করেছেন ১০৯ রান। এটি তাঁর আন্তর্জাতিক ওয়ানডে কেরিয়ারের ১৭তম শতরান। প্রথম উইকেটে ২১২ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে ভারতীয় ইনিংসকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করান তাঁরা।

পরে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জেমিমা রড্রিগেজ করে ১১ চারে ৫৫ বলে ৭৬ রান। শেষপর্যন্ত ভারত তোলে ৪৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৪০। বৃষ্টির কারণে পুরো ইনিংস খেলতে পারেনি ভারত। এটিই মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
বৃষ্টির জন্য ডাকওয়ার্থ-সুইস পদ্ধতিতে নিউ জিল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৪৪ ওভারে ৩২৫।

বৃষ্টির কারণে ওভারসংখ্যা এবং টার্গেট দুটোই কমে যায় নিউজিল্যান্ডের। ডাকওয়ার্থ-সুইস পদ্ধতির কারণে অবশ্য বেড়ে যায় আস্কিং রেট। ৪৯ ওভারে ৩৪১ নয়, ৪৪ ওভারে ৩২৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাদের সামনে রাখা হয়। ভারতের রান তাড়া করতে নেমে কোনও কিউয়ি ব্যাটারকেই জ্বলে উঠতে দেখা গেল না। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন ব্রুক হ্যালিডে। অ্যামেলিয়া কের করেন ৪৫ রান।ইসাবেলা গেজ অপরাজিত থেকে যান ৬৫ রানে।
ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলাররাও ছিলেন অনবদ্য। কাজটা সারেন ভারতের বোলাররা। রেণুকা ও ক্রান্তি ২টি করে উইকেট নেন। স্নেহ, শ্রীচরণী, দীপ্তি ও প্রতীকা একটি করে উইকেট নেন। নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে ২৭১ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ভারতকে সেমিফাইনাল খেলতে হবে অস্ট্রেলিয়া অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের স্মরণীয় জয়ের সাক্ষী থেকেছেন ২৩,১০৮ জন। যা যে কোনও মহিলা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দর্শক সংখ্যা।
