ক্যারম চ্যাম্পিয়ন ঋতুপর্ণা থেকে উকিলের মতো যুক্তি চৈতির! মায়েদের গোপন সিক্রেট ফাঁস ছেলেদের

পৃথিবীতে সব থেকে মধুর সম্পর্ক হল মা ও সন্তানের। তারকাদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে চৈতি ঘোষালরা তাঁদের ছেলের সঙ্গেও তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ একেবারে আর পাঁচটা মা-ছেলের মতোই। সেই সম্পর্কের খুঁটিনাটি নিয়ে আডিশানের সঙ্গে অকপট আড্ডায় ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে ধরা দিলেন ঋতুপর্ণা-চৈতিরা।
ছেলে অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে চৈতির বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। সেখানে হাজির ছিলেন চৈতি-পুত্র অমর্ত্য রায়ও। সকলে মিলে তাঁরা এক ফ্রেমে ধরা দেন, কথা সূত্রে মায়েদের ভাল গুণ ও খারাপ অভ্যাস নিয়ে নানা মজার কথা ভাগ করে নেন। অমর্ত্য বলেন, “সৃজনশীল বিষয় নিয়ে অনেক সময়ই মায়ের সঙ্গে আমার মতপার্থক্য হয়, বলা ভালো ঝগড়া হয়। আর সেটা অনেক ক্ষেত্রেই তুমুল পর্যায় পৌঁছে যায়। আর একটা বিষয় হল সমাজমাধ্যমে মা ‘টাইপো মাস্টার’। কিন্তু সে ঠিক আছে, আমি সেই সমস্যাটা বুঝতে পারি। আমার মা একেবারে উকিলদের মতো করে নিজের পক্ষে যুক্তি দেয়। তাই আমি খুব একটা পারি না মায়ের সঙ্গে। ফলে যে কারণের জন্য রাগ হয়, সেই জায়গাটা থেকে আমি অনেক কিছু শিখতেও পারি।’ আর মায়ের ভাল দিক? অমর্ত্যর কথায়, “মায়ের সব কিছুই ভাল। সব থেকে ভাল বিষয়টা হল আমরা বন্ধুর মতো। আমরা দু’জন এক সঙ্গে অনেক কিছু করি। আর এই অভ্যাসটা কিন্তু মা ছোটবেলা থেকেই তৈরি করেছে।”
অন্যদিকে, মায়ের খারাপ ভাল দিক নিয়ে বলতে গিয়ে ঋতু-পুত্র অঙ্কন জানান, সময় নিয়ে নাকি নানা সমস্যা তৈরি করেন মা। কী রকম? অঙ্কনের কথায়, “মা একটা সময় আসবেন বলে, আর একটা সময় আসেন। যেমন ধরুন, মা বললেন ৯টার সময় আসবেন। কিন্তু সেই ৯টার অর্থ হল ১০টা বা ১১টা। মা বার বার করে হয়তো ফোনে আমাকে বলতে থাকেন, ‘তুমি কোথায়?’ আমি বলতে থাকি, ‘আমি ঢুকছি’। কিন্তু মা বার বার বেশ উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমি কিন্তু ঢুকছি, বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তুমি কোথায়?’ তখন আমি মাকে বলি, ‘মা আমি বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে। কিন্তু তোমাকে তো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না।’ এটা একটা খারাপ দিক বলতে পারেন। আর ভাল বলতে, মা দারুণ আড্ডা দিতে পারেন, আর আমার কিন্তু ক্যারমের বড় চ্যাম্পিয়ান। ক্যারম খেলায় মায়ের সামনে কেউ টিকতে পারবে না।”
এরপর অঙ্কন একটা মজার গল্পও ভাগ করে নেন। তিনি বলেন, “আমার বন্ধুরা এসেছিল। ওঁরা ভেবেছিল সহজেই মাকে হারিয়ে দিতে পারবে ক্যারামে। কিন্তু মা দেখিয়ে দিয়েছে বাঙালি কী পারে।” ছেলের কথা শুনে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণা বলেন, “ছেলে সব সময় আমার কাছে বাচ্চা। ও যে কবে এত বড় হয়ে গেল সেটা আমার বিশ্বাস করতে সময় লেগেছে। আসলে সন্তানরা বড় হয়ে গেলে ওঁদেরও একটা নিজস্ব মতামত থাকে। আমি কখনওই ওঁদের উপর কিছু চাপিয়ে দিই না। কোনও সমস্যা হলে আমরা আলোচনা করি। আর আমার ছেলেও যে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ভালবাসে। আমি চাই ও মন থেকে যা চায় তা যেন করতে পারে সফল ভাবে এইটুকুই আমি কামনা করি।’ শেষে চৈতি বলেন, “ওঁরা দু’জন ভাল মানুষ তৈরি হয়েছে, এটাই সব থেকে বড় কথা।”