ইডেনে থেকে ফাইনাল সরে যাওয়ার কারণ রাজনীতিই, প্রতিবাদ ক্রীড়ামন্ত্রীর

অপারেশন সিঁদুর। এরপরই বেড়ে গিয়েছিল ভারত-পাক উত্তেজনা। কয়েকদিন স্থগিতের পর আইপিএল ফের শুরু হতেই আচমকা বদলে গেল ফাইনাল ভেন্যু। ইডেন থেকে সরে গিয়ে সোজা আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধিই দেখছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। জানা গেছে, ওই সময়ে কলকাতায় বৃষ্টি হতে পারে। সেই আশঙ্কা করেই ফাইনাল সরিয়ে নেওয়া হয় ইডেন গার্ডেন্স থেকে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘ইডেনে একটি প্লে অফ এবং ফাইনাল ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও এক আজানা কারণে সেই ফাইনাল ম্যাচ সরানো হল। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, কেন সরানো হল এই ফাইনাল। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমী মানুষকে কেন বঞ্চিত করা হল?’ নগরপাল মনোজ বর্মা ও যুবকল্যাণ ও ক্রীড়াদফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ কুমার সিনহাকে পাশে নিয়ে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, ‘বাংলা সর্বক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার স্বীকার। একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চনার মোট পরিমাণ এক লক্ষ সাতাশি হাজার কোটি টাকা। এবার বঞ্চনা ক্রিকেট মাঠেও’৷তিনি পরিষ্কার বলেন, ‘ইডেনের জল নিকাশি ব্যবস্থা খুবই উন্নত মানের। এত ভালো ড্রেনেজ সিস্টেম ভারতের আর কোনও স্টেডিয়ামে নেই। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পরেও ইডেনে খুব তাড়াতাড়ি খেলা শুরু করা যায়। ইডেন থেকে জল বেরিয়ে যেতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় লাগে। তা সত্ত্বেও এখান থেকে ম্যাচ সরানো হল। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘৯৩ বছরের ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এটা হয়নি। আবহওয়ার রিপোর্ট এর উপর ভিত্তি করে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হল। আমি ভারতের আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট নিয়ে এলাম। ৭ দিনের আগে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিতে পারে না। সেখানে আমেরিকার পূর্বাভাস মেনে আমাদের ভারতের আবহাওয়াবিদদের ছোট করা হল। ওই রিপোর্টে কি বলা আছে ফাইনালের দিন আহমেদাবাদে বৃষ্টি হবে না? আসলে একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে। বড়ো বড়ো সব টুর্নামেন্টের ফাইনাল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দিতে হবে। গত ৩ বছরে দুটো ফাইনাল হয়েছে আহমেদাবাদে।’