২৬–এ রেনে, আবেগঘন সুস্মিতা, মেয়েকে দেখে ভক্তদের মনে পড়ল স্মিতা পাটিলকে

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: শুরু থেকেই একটা কথা বেশ প্রচলিত আছে, ‘মা-বাবার মতো সন্তানকে আর কেউ ভালবাসতে পারে না।’ তবে সেই চিরন্তন সত্যকে বদলে দিয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। তাঁর জীবনের ২৪ বছর বয়সে, ২০০০ সালে তিনি প্রথম মেয়ে রেনেকে দত্তক নেন। ২০১০ সালে আসে দ্বিতীয় মেয়ে আলিশা। ‘সিঙ্গেল মাদারে’র তকমা তখন গালভরা কোনও শব্দ ছিল না। কিন্তু সুস্মিতা সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, মাতৃত্বের জন্য স্বামী বা সমাজের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।

সমাজমাধ্যমে  ঝড় তুললেন একগুচ্ছ পুরনো–নতুন ছবি, সঙ্গে একেবারে মায়ের সেই আদরভরা খুনসুটি, ‘হ্যাপি বার্থডে মাই ফার্স্ট লভ!’ ছোট্ট রেনের হাসি-খুশি মুহূর্ত থেকে শুরু করে বোন আলিশার সাথে দুষ্টুমি, মায়ের সঙ্গে ছুটি কাটানো, সব ছবিই যেন স্মৃতিগুলো উসকে দিচ্ছে। ক্যাপশনে সুস্মিতা লিখেছেন, ‘আমার প্রথম ভালবাসাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা! সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে মূল্যবান উপহার, যা আমার জীবনকে চিরতরে বদলে দিয়েছে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই বছরটা শুধুই তোমার, শোনা। তোমাকে নিয়ে আমি চিরকাল গর্বিত।’ 

রেনের নতুন ফটোশুটের কয়েকটি ছবিও শেয়ার করেছেন সুস্মিতা। সেখানে কালো এবং প্রিন্টেড পোশাকে রেনের প্রতিটি পোজ দেখে সুস্মিতা মুগ্ধ হয়েছেন। তাঁর অ্যাটিটিউডের প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘অ্যাটটিটিউড প্রতিযোগিতা করে না, নিজের পথেই বাজিমাত করে।’ সুস্মিতার এই পোস্টগুলো দেখে এক ভক্ত লেখেন, ‘রেনেকে দেখতে একেবারে প্রয়াত অভিনেত্রী স্মিতা পাটিলের মতো লাগছে।’ সত্যিই, রেনের মুখের সাথে স্মিতা পাটিলের চেহারার দারুণ মিল খুঁজে পেয়েছেন অনেকেই।

এদিকে, এত ভালবাসা পেয়ে রেনেও আপ্লুত। মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রেনেও তাঁর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘শর্তহীন ভালবাসা আর ভালবাসা পাওয়া—এই অনুভূতিই পৃথিবীর সেরা। সৃষ্টিকর্তার সেরা আশীর্বাদ হচ্ছে তোমার মেয়ে হয়ে জন্মানো।”

সুস্মিতা সেনের শেষ কাজ ছিল থ্রিলার ড্রামা সিরিজ ‘আরিয়া’। যেখানে তিনি একজন এমন মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যিনি তার পরিবারকে অপরাধ জগতের হাত থেকে রক্ষা করতে সব ধরনের বাধা অতিক্রম করেন। এই সিরিজের প্রথম সিজন ‘ইন্টারন্যাশনাল এমি অ্যাওয়ার্ডসে’ও নমিনেশন পেয়েছিল।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *