মা হয়ে বটগাছের মতন ছায়া দিয়েছি, মেয়ের সাফল্যে আবেগাপ্লুত স্বস্তিকা
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় সমাজ মাধ্যমে কিছু লিখলেই, তা নিয়ে যেন ঝড় ওঠে নেটিজেনদের মন্তব্যে। এ বার টেলি অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় যা লিখলেন, তাতে মন জয় করে নিলেন এককথায় ভক্তদের। নিজের মেয়ের স্মৃতিচারণে, কী ভাবে বড় করে তুলেছেন, বটগাছের মতো ছায়া দিয়ে গেছেন সে’কথাই তুলে ধরেন। মা-মেয়ের গল্প মন কেড়েছে সবায়েরই।
আসলে, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে এখন অনেক বড় হয়ে গেছেন।দাদুর মতো, মায়ের মতো অভিনয়ে আসেননি স্বস্তিকা কন্যা অন্বেষা।স্বস্তিকার মেয়ে মানি মনোবিজ্ঞানে এমএসসি করে এখন কার্ডিফ থেকে লন্ডনে। বিদেশেই চাকরি পেয়েছেন। মেয়ে তাঁর স্বপ্ন পূরণ করেছেন। নস্ট্যালজিয়া বাড়িয়ে সে’গল্পই যেন লিখলেন অভিনেত্রী। সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘কত ছোট তখন আমরা মা–মেয়ে দুজনেই। আমি কাজ এর সূত্রে যেখানেই যেতাম, ছানার স্কুল ছুটি থাকলে সেও মায়ের সঙ্গে ড্যাং ড্যাং করতে রাজি। আমার ঠিক মনে পড়ে না, মানি একটু বড় হওয়ার পর আমি ওকে ছাড়া তেমন একটা কোথাও গেছি বলে। মানির সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ছিল ইংল্যান্ড। এত জায়গায় গেছে বেড়াতে কিন্তু যুক্তরাজ্যে গেলেই বলত, মা এখানে আমি একদিন পড়াশোনা করতে আসব। তারপর চাকরি করব। তুমি এখানে এসে আমার কাছে থাকবে। তুমি তো তখন বুড়ি হয়ে যাবে, একা একা তো থাকতে পারবে না।’
মা-মেয়ের আরও অনেক গল্পের মাঝে মেয়ের নতুন যাত্রা নিয়ে আবেগাপ্লুত স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘খালি বাড়ি আসার সময়টা বের করে ফেললেই হবে। সন্তানেরা যা হওয়ার স্বপ্ন দেখে তার দিকে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যেতে দেখাতেই সর্বসুখ। আমার মেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে আমাকে ধন্যবাদ দিতে এলেই বলি, সব তুমি করেছ মা আমার, বিদেশবিভুঁইয়ে একা থেকেছ, প্রচুর পরীক্ষা দিয়েছ, অনেক খেটেছ। সবটা তোমার প্রাপ্য। মা হয়ে আমি পেছনে বটগাছের মতন ছায়া দিয়েছি খালি, ওটাই আমার কাজ, আর কিছু করিনি। সন্তানদের স্বপ্ন পূরণ হোক, ওদের জীবনে আলো থাক, আতশবাজি থাক, মায়েরা আশ্রয় হয়ে থাক বটগাছের মতন।’ সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল পেজে ১৪- ১৫ বছর আগের একটা ছবি শেয়ার করে এসব কথাই লিখেছেন স্বস্তিকা।