গুলিতে ঝাঁঝরা স্বামী, জঙ্গিদের কাছে স্ত্রীর কাতর আর্জি, ‘আমাকেও মারুন’, উত্তর, ‘মোদিকে বলুন’
ট্রেন্ডিং: মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন স্বামী। একবুক হাহাকার নিয়ে জঙ্গিদের কাছে স্ত্রীর কাতর আর্জি, ‘আমায় এবং আমার সন্তানকেও মেরে ফেলুন।’ পাল্টা উত্তর এল, ‘মোদিকে বলুন’! কাশ্মীর ভ্রমণের এমন অভিজ্ঞতা যেন কল্পনাও করেননি পহেলগাঁও ঘুরতে আসা এই পর্যটক। মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া এমন মর্মান্তিক ঘটনায় যেন থমকে গিয়েছেন সকলে।
এ দিন, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পর্যটক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যেই ছিলেন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে আসা মঞ্জুনাথ নামের নিহত পর্যটক। সন্তানের জন্য খাবার কিনতে দোকানে গিয়েছিলেন তিনি। সেই মুহূর্তের গুলি চলার আওয়াজ।
স্বামীর মৃত্যুকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পল্লবী দেবী ডিএইচকে বলেন, “গত ১৯ এপ্রিল আমরা কাশ্মীরে এসেছি। এতদিন সব ঠিক ছিল। আমরা খুব ভাল সময় কাটিয়েছি। কিন্তু আজ কী হয়ে গেল! আমার সন্তানের জন্য খাবার কিনতে কাছেপিঠে একটি দোকানে গিয়েছিলেন আমার স্বামী। তখনই গুলির শব্দ শুনতে পাই। প্রথমে ভেবেছিলাম হয় তো কোনও পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে পুলিশ। তারপরই আমার স্বামীকে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে পড়ে রয়েছেন। অন্যান্য পর্যটকের চিৎকার, ‘পালাও পালাও!’ আমি আমার দুঃখ প্রকাশ করতে পারছি না কথায়। এই মুহূর্তে আমি পহেলগাঁওয়ের একটি জেনারেল হাসপাতালে আছি।”
সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “আমার স্বামীকে মেরেছে জঙ্গি। আমি অনুরোধ জানিয়েছিলাম, আমার এবং আমার সন্তানের উপরও গুলি চালাতে। ওরা আমাকে বলে, ‘মোদিজিকে বলুন’। আমি এখনও মানসিকভাবে এই আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারিনি।”

রিপোর্ট বলছে, প্রায় দুই থেকে তিনজন বন্দুকধারী আসে এ দিন এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে পর্যটকদের উপর। ১২ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে এ দিনের জঙ্গি হামলায়। মৃতের সংখ্যা ১।