জঙ্গি নিকেশ অপারেশনে গিয়ে ফেরা হল না বাড়ি! কাশ্মীরে তুষারঝড়ে ২ বাঙালি জওয়ান শহিদ
ট্রেন্ডিং: দুঃখজনক, তবু অসীম সাহসিকতার পরিচয়। জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় তীব্র তুষারঝড় ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কবলে পড়ে প্রাণ হারালেন সেনাবাহিনীর দুই প্যারা-কমান্ডো। শহিদ দুই বীরযোদ্ধা, ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষ (মুর্শিদাবাদ) এবং ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষ (বীরভূম)। বাংলার দুই জওয়ানের অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজ্যে। বুধবার কাশ্মীরের দক্ষিণ অনন্তনাগের গাদুলে আতঙ্কবাদী নিকেশ অপারেশন চলায় সেনাবাহিনী। সেই অভিযান দলে ছিলেন বাংলার দুই প্যারা কমান্ডো। অভিযানের সময় তুষারঝড়ের মধ্যে পড়েন তাঁরা। নিখোঁজ হয়ে যান পলাশ ও সুজয়। বরফাবৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পলাশকে। আইসিইউতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার আরেকজনের মৃতদেহ কোকেরনাগের কিস্তোয়ার রেঞ্জ থেকে উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, চরম ঠান্ডা ও হাইপোথার্মিয়ার কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
সুজয় ঘোষ ও পলাশ ঘোষকে তাঁদের বীরত্ব, নিষ্ঠা এবং সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘অনন্তনাগে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে প্রতিকূল আবহাওয়ায় শহিদ হওয়া আমাদের দুই বীর প্যারা-কমান্ডো, মুর্শিদাবাদের পলাশ ঘোষ ও বীরভূমের সুজয় ঘোষের আত্মত্যাগে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁদের পরিবারকে সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।’
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার রুকুনপুর পঞ্চায়েতের বলরামপাড়ার ৩৮ বছরের পলাশের বাড়িতে রয়েছেন বাবা-মা, দুই কন্যা ও স্ত্রী। শনিবার সকালে এই খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। বীরভূমের রাজনগরের কুন্ডিরা গ্রামের বাসিন্দা ২৮ বছরের সুজয়ের বাবা কৃষক। দাদা গ্রামেই একটি গ্রাহক সেবাকেন্দ্র চালান৷ জানা গিয়েছে, শহিদ জওয়ানরা সেনার এলিট প্যারা ফোর্সে ছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা শহিদ দুই সেনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের সাহসী সৈন্যদের ত্যাগ জাতি কখনও ভুলবে না। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই এবং পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিচ্ছি।’