পুরুষতান্ত্রিক ছবি নিয়ে গর্বিত ভিকি কৌশল, নারীবিদ্বেষী সিনেমা করে অনুতপ্ত আদিল হুসেন

সমাজ যেভাবে চলছে, তার প্রভাব সিনেমায় পড়ে? নাকি সিনেমায় যা দেখানো হয় তার প্রভাব সমাজে পড়ে? বলিউডে দুই অভিনেতার গলায় দু’রকম সুর। কেউ অভিনয় করে গর্বিত আবার কেউ লজ্জিত। সম্প্রতি দুটি সিনেমা নিয়ে মুখ খুলেছেন বলিউডের দুই অভিনেতা ভিকি কৌশল ও আদিল হুসেন। যেখানে ভিকি সমাজের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পুরুষতন্ত্রের অ্যাকশন সিনেমায় কোনও ভুল খুঁজে পাননি। অন্যদিকে আদিল, তাঁর পুরনো ছবি যা নারীবিদ্বেষী মনে হয়েছে, সমাজে প্রভাব পড়তে পারে মনে হয়েছে সেই ‘কবীর সিং’এ অভিনয় করে আজও আফশোস করছেন।
সম্প্রতি এক যুব কনক্লেভে অংশ নিয়েছিলেন ‘ছাভা’র অভিনেতা ভিকি কৌশল। তাঁর মতে, অ্যাকশন সিনেমার জনপ্রিয়তা দর্শকদের পছন্দের উপর নির্ভর করে এবং এই ধরনের ছবি দর্শকদের বিনোদনের চাহিদা পূরণ করে। তিনি এও উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে অ্যাকশন ঘরানার সিনেমার প্রতি দর্শকদের একটা বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে এবং এই ধারাটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের পুত্র সম্ভাজি মহারাজের জীবনী তুলে ধরা হয়েছে ‘ছাভা’ সিনেমায়। ঐতিহাসিক অ্যাকশন-ড্রামায়দর্শকের একাংশের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে ছিল ভিকির অ্যাকশনেই। ভিকি কৌশল বলেন, ‘অতি-পুরুষালি অ্যাকশন ছবিগুলির উত্থান দর্শকদের আকাঙ্ক্ষার কারণেই। দর্শকদের আগ্রহ কমে গেলে চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই প্রবণতা থেকে সরে আসবেন’। তিনি আরও বলেন, ‘এই ছবিগুলি কেবল সিনেমা-দর্শকরা বড় পর্দায় কী উপভোগ করতে চান তার প্রতিফলন’। তাঁর স্পষ্ট মত, সমস্ত পর্যায় ‘সমাজ দ্বারা নির্ধারিত, উল্টোটা নয়’।
অথচ নারীবিদ্বেষী সিনেমা হওয়ায় ‘কবীর সিং’-এ অভিনয় করে লজ্জার কথা স্বীকার করতে দ্বিধা করেননি অভিনেতা আদিল হুসেন। ‘কবীর সিং’-এ কাজ করার জন্য তিনি অনুতপ্ত বলে স্বীকার করেছেন। বলিউডে এক সংবাদমাধ্যমকে এই নিয়ে স্পষ্ট বলেছেন, এই সিনেমায় সই করার আগে স্ক্রিপ্টটাই পড়েননি। ইংলিশ ভিংলিশের এই তারকা আরও জানান যে, প্রথমে তিনি প্রস্তাবটা প্রত্যাখ্যান করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি তার ম্যানেজারকে দিয়ে স্বাভাবিক পারিশ্রমিকের পাঁচগুণ বেশি টাকা দাবি করেছিলেন। তাতেও রাজি হয়ে যায় নির্মাতারা। বিশেষ একটি দৃশ্য তার মনে হয়েছিল যে এটা দুর্দান্তভাবে লেখা হয়েছে, এবং তাই তিনি ছবিটিতে হ্যাঁ বলেছিলেন। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেতার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়।সিনেমাটিকে সরাসরি নারীবিদ্বেষী আখ্যাও দেন তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘একজন শিল্পী হিসেবে, এই ধরনের সিনেমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা তার দায়িত্ব’। আরও বলেন, ‘সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা কী করেছেন তা নিয়ে বলছি না, তবে এটা আমার দায়িত্ব ছিল। আমি না বলতে পারতাম। বেশ কয়েকজন মহিলা বন্ধু হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। আমি ওই সিনেমাটি করার জন্য অনুতপ্ত।’