দিল্লির মাঠে জিতে রাহুলকে দেখেই মিমিক্রি বিরাটের, এটা আমার মাঠ
স্পোর্টস ডেস্ক: দলকে ৪১ রান করে ভরসা দিয়েছিলেন কেএল রাহুল। ২২গজে ব্যাট মাটিতে ঠুকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এটা ওর মাঠ। কিন্তু কে না জানে, এ মাটি বিরাট কোহলির চেয়ে আর কেউ ভাল জানে না। জন্মশহর বলে কথা! দিল্লির রাজপুত্র এদিনও খেলে ফেললেন অর্ধশতরানের ইনিংস। দিল্লিকে হারিয়ে আরও একটা জয় পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সবার আগে পৌঁছল ১৪ পয়েন্টের ফিগারে। স্বাভাবিকভাবেই দল শীর্ষে। এ মরসুমে প্রতিপক্ষের মাঠে এখন পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচেই জিতল কোহলির বেঙ্গালুরু। দিল্লি ১২ পয়েন্টে আটকে থেকে নেমে গেল চারে।
প্রতিবার আইপিএলে দিশা হারিয়ে ফেলা আরসিবিকে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন যেন ‘টিনএজ’ বিরাট। প্রতিবার খেলছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। দিল্লি প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৬২ রান তোলে। জবাবে ৯ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথমে ব্যাট করে বিশাল স্কোর করতে পারেনি দিল্লি। দিল্লির হয়ে লোকেশ রাহুল তিনটি চারের সাহায্যে ৩৯ বলে সর্বাধিক ৪১ রান করেন। ট্রিস্টান স্টাবস করেন ১৮ বলে ৩৪। অভিষেক পোড়েল ১১ বলে ২৮, ফাফ দু প্লেসি ২৬ বলে ২২ রান করেন। জবাবে খেলতে নেমে পাওয়ারপ্লে-র মধ্যেই তিন উইকেট হারায় আরসিবি। ৪ ওভারে স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ২৬। এরপর মন্থর পিচে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বিরাট কোহলি ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া।
কোহলি টানা তিনটি আইপিএল ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করলেন। চলতি আইপিএলে তাঁর ষষ্ঠ অর্ধশতরান, আইপিএল কেরিয়ারে ৬১তম। যা এলো ৪৫ বলে। কোহলির আগেই ৩৮ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। কোহলি চারটি চারের সাহায্যে করেন ৪৭ বলে ৫১। ক্রুণাল পাঁচটি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে ৪৭ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন। সেইসঙ্গে বল হাতেও নেন ১ উইকেট। তাতেই তিনি হয়ে যান ম্যাচ সেরা। আর কোহলি পান অরেঞ্জ টুপি। এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আরসিবি। ম্যাচ শেষে তাই কেএল রাহুলকে দেখে মিমিক্রি করতে ছাড়েননি বিরাট। ব্যাট ঠোকার ভঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, এটা আমার মাঠ। এরপরই ভারতীয় দলের সতীর্থকে জড়িয়ে ধরে হেসে ওঠেন বিরাট।