ভিডিওতে দুর্ঘটনার কয়েক সেকেন্ড আগে বিমান থেকে কিছু একটা উড়ে যেতে দেখা গেছে…

0




সত্যি তাহলে অলৌকিক কিছু আজও ঘটে! বিশ্বাস কুমার রমেশ, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের একমাত্র জীবিত যাত্রী। তাঁকে নিয়েই চর্চা গোটা দুনিয়ায়। যখন সবকিছু ধ্বংস, তখন অবিশ্বাস্যভাবেই প্রাণে বেঁচেছেন তিনি।
ধ্বংসে মুহূর্তে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় কিছু ভিডিও। এরমধ্যে নেট বিশেষজ্ঞদের নজরে এসেছে এক অদ্ভুত ঘটনা। বিমান বিস্ফোরণের মাত্র দশ সেকেন্ড আগে আকাশে কিছু একটা উড়ে যেতে দেখা যায়। কী তা, তা এখনও রহস্য। যদিও আডিশন সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। তবু ভাইরাল ভিডিওর ছবি ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। মনে করা হচ্ছে, প্রবল ঝাঁকুনিতে বিমানের এমার্জেন্সি দরজা ছিটকে যেতে পারে। তবে কী তার পাশেই ছিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ! তাঁর সিটও কী একইসঙ্গে ছিটকে যেতে বেঁচে গেছেন! কারণ তাঁর সিট নম্বর ছিল ১১এ।  তাঁর পাশেই ছিল বিমানের এমার্জেন্সি ডোর। কোন দরজা, আদৌ তা বিমানের এমার্জেন্সি দরজা কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে রমেশ কুমার বিশ্বাস ঠিক কীভাবে বেঁচে যেতে পারলেন, তা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। কারণ ১ লক্ষ লিটারেরও বেশি জ্বালানি ছিল তখন বিমানে। বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ার পরই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে জ্বলে যান সকলে।


বর্তমানে রমেশ আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাসপাতালের সি৭ ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। স্বাভাবিকভাবেই ট্রমার মধ্যে রয়েছেন তিনি। স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারছেন না। ২৪২ জনের মধ্যে একমাত্র তিনিই বেঁচে, এ কথা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। হাসপাতালের বিছানা থেকে শুয়ে দুর্ঘটনার পরের মুহূর্ত বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘আমার চারপাশে শুধু মৃতদেহ ছিল। বিমান টুকরো টুকরো হয়ে আমার চারিদিকে পড়েছিল। হঠাৎ কেউ একজন আমায় টেনে তুলল আর অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে গেল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার চোখের সামনেই সবটা হয়েছে। জানি না কীভাবে বেঁচে ফিরলাম, এখন নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না। কিছু সময়ের জন্য বুঝতেই পারিনি কী ঘটছিল চারপাশে। এক সময় তো আমার এও মনে হচ্ছিল যে আমিও মরে যাব। কিন্তু চোখ খুলে দেখি বেঁচে আছি আমি’।


সূত্রের খবর, শুক্রবার অবশেষে মিলেছে এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত এই বিমানের ব্ল্যাকবক্স। মেঘানিনগরে চিকিৎসকদের যে হস্টেলে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, তার ছাদ থেকে নাকি উদ্ধার হয়েছে সেই ব্ল্যাকবক্স। তাতেই হয়তো জানা যেতে পারে, কীভাবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *