স্বস্তির কথা শোনাল আবহাওয়া দফতর! পুজোয় ভারী বৃষ্টির আর সম্ভাবনা নেই
ট্রেন্ডিং: গত সপ্তাহেই রাতভর বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল কলকাতা ও শহরতলি। মাথায় হাত দিয়ে বসেছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। চারিদিকে দল থৈ থৈ অবস্থা। পুজোর মুখে যুদ্ধকালীন ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত মণ্ডপ থেকে ঠাকুর সবই ঠিক করেছেন তাঁরা। এরপরও অশনি সংকেত ছিল আরও এক নিম্নচাপের। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তায় ভয় ধরেছিল যেমন উদ্যোক্তাদের তেমনই আশঙ্কিত হয়েছিলেন দর্শনার্থীরাও। তাই সময় নষ্ট না করেই বেরিয়ে পড়েছিলেন ঠাকুর দর্শনে। কারণ, ষষ্ঠীতে নাকি ফের ভাসতে পারে কলকাতা এমনই আশঙ্কা ছিল।
তবে পুজোর আবহে ঝলমলে শহরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারেন এ বার পুজো উদ্যোক্তা থেকে দর্শনার্থীরা। কারণ, এখন আর ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে সেই স্বস্তির কথা। দক্ষিণবঙ্গে শনিবার ও রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কারণ, যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছিল, তা দক্ষিণ ওড়িশা এবং দক্ষিণ ছত্তিশগড়ে অবস্থান করছে।শক্তিও ক্ষয় হয়েছে। আগামী ১২ ঘন্টায় এটি আরো শক্তি ক্ষয় করে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিমে বিদর্ভের দিকে চলে যাবে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।সপ্তমী এবং অষ্টমীতেও কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
তবে ৩০ সেপ্টেম্বর, মহাষ্টমীর দিন আবারও একটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীকালে তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর ফলে দশমীতে দক্ষিণবঙ্গে আবারো ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।নিম্নচাপ ও ঘূর্নাবর্তের কারনে পুজোর দিনগুলিতে দক্ষিনবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাষ থাকায় রাজ্য সরকার সব জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ আগেই দিয়েছে। মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ নদীমাতৃক বিভিন্ন জেলার নদীগুলির জলস্তর নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে প্রতিদিন দুইবার করে নবান্নে কন্ট্রোল রুমে রিপোর্ট পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে।