শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর! প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি

একদিকে যখন বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি, চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের ‘অর্ধনগ্ন’ প্রতিবাদে একের পর এক আটক করা হয়েছে। চাকরিহারাদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত ধস্তাধস্তি চলে এই ধরপাকড়ের সময়। অন্যদিকে তখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেল স্কুল সার্ভিস কমিশনের। যদিও চাকরিহারারা নতুন করে এই পরীক্ষায় বসতে নারাজ। আবার কেন পরীক্ষা দিতে হবে? এই প্রশ্ন তুলে আন্দোলন করছেন এসএসএসির চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। চাকরিহারাদের নবান্ন অভিযান আটকে দেওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আন্দোলনকারীরা। একদিকে যখন আন্দোলন অন্যদিকে তখন সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া ডেডলাইন মেনে রাজ্যে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল এসএসসি। নিয়োগ বিধিতে একাধিক বদল আনা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই নতুন বিধির ফলে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা কিছুটা হলেও সুবিধা পাবেন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অ্যাকাডেমিক্সের নম্বর অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বদলে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লাস নেওয়ার দক্ষতায় অতিরিক্ত নম্বর যোগ করা হয়েছে। ফলে যাঁরা আগে শিক্ষকতা করেছেন তাঁরা বাড়তি সুবিধা পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৬ জুন বিকেল পাঁচটা থেকে অনলাইনে আবেদন জানানো যাবে। আবেদন জানানোর শেষ তারিখ ১৪ জুলাই বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে লিখিত পরীক্ষা হবে। ফল প্রকাশিত হবে অক্টোবর মাসের চতুর্থ সপ্তাহে৷ ইন্টারভিউয়ের সম্ভাব্য সময় নভেম্বর মাসের প্রথম থেকে তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। প্যানেল প্রকাশিত হবে ২৪ শে নভেম্বর। কাউন্সেলিং শুরু হবে ২৯ শে নভেম্বর থেকে। সাধারণ এবং ওবিসি শ্রেণিভুক্ত পরীক্ষার্থীদের আবেদনের ফি ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি, উপজাতি, বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য ফি ২০০ টাকা।স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নবম-দশমে ২৩ হাজার ২১২ এবং একাদশ-দ্বাদশে ১২ হাজার ৫১৪ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ৬০ নম্বরের ওএমআর ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর সর্বোচ্চ ১০ নম্বর থাকবে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর দেওয়া হবে। ইন্টারভিউয়ের জন্য ১০ নম্বর ও লেকচার ডেমনস্ট্রেশনের জন্য ১০ নম্বর থাকবে। প্রথম কাউন্সেলিংয়ের তারিখ থেকে এক বছর পর্যন্ত প্রতিটি প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্ট বৈধ থাকবে। পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর সিটগুলি প্যানেলের মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ার পর দু’বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে। ওএমআর সিটের স্ক্যান করা প্রতিলিপি প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর দশ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে।